বিজয়কুমার দাস
বীরভূমের সিউড়ির ইয়ং নাট্য সংস্থা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে নানা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপন করে আসছে। এ বছর বিশ্ব নাট্য দিবসের প্রাক্কালে ইয়ং নাট্য সংস্থা আয়োজন করেছিল আন্ত: বিদ্যালয় নাট্য প্রতিযোগিতার। বিগত ৫ বছর ধরে শিশু ও কিশোরদের মধ্যে নাটক বিষয়ে আগ্রহ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই আয়োজন করা হচ্ছে। এ বছরের প্রতিযোগিতায় জেলার ৯ টি বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। আননায়ুধ পত্রিকার সম্পাদক নাট্যজন স্বপন রায় এই উৎসবের সূচনা করে এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন তাঁর বক্তব্যে। পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির আর্থিক সহায়তায় সিউড়ি শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ সভাগৃহে অনুষ্ঠিত হয় এই নাট্য প্রতিযোগিতা। বিচারকের আসনে ছিলেন নাট্যজন হিমাদ্রিশেখর দে, রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী, শুভঙ্কর অধিকারী।
প্রতিযোগিতার পর্বে অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়গুলি হল : কড়িধ্যা বিদ্যানিকেতন, ভবানীপুর জুনিয়ার হাই স্কুল, অজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়, সিউড়ি বেণীমাধব ইন্সটিটিউশন, করমকাল এস এন বিদ্যাভবন, পাইকপাড়া সরোজিনী দেবী শিশুমন্দির, সিউড়ি কে ই কারমেল স্কুল, নগরী সুধাংশুবদনী শিক্ষা নিকেতন,চিনপাই উচ্চ বিদ্যালয়। তাদের পরিবেশিত নাটকগুলি যথাক্রমে : জীবন,শূন্য পেলেন সরস্বতী, অবাক জলপান, গুলমাস্টার গোলাদা, দৃষ্টিভঙ্গী, জুতা আবিষ্কার, ববি, নিষ্কৃতি,লক্ষ্মণের শক্তিশেল। বিচারকদের বিচার অনুযায়ী কে ই কারমেল স্কুল প্রযোজিত “ববি” নাটকটি ১ম শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা, ভবানীপুর জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় প্রযোজিত “শূন্য পেলেন সরস্বতী” ২য় শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা এবং চিনপাই উচ্চ বিদ্যালয় প্রযোজিত “লক্ষণের শক্তিশেল” নাটকটি ৩ য় শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা হিসাবে পুরস্কৃত হয়।
বিজয় তেন্ডুলকার রচিত “ববি” নাটকের নির্দেশনার দায়িত্বে ছিলেন দেবাশিস দত্ত, আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়ের লেখা “শূন্য পেলেন সরস্বতী” নাটকের নির্দেশক ছিলেন খোকন মন্ডল ও সুকুমার রায়ের লেখা “লক্ষ্মণের শক্তিশেল” নাটকের নির্দেশক ছিলেন সুতনু সরকার। পুরস্কার বিতরণের পর সন্ধ্যায় কলকাতার বিভাবন সুপ্রিয় সমাজদারের পরিচালনায় পরিবেশন করে “দূরতর দ্বীপ” নাটকটি। আয়োজক ইয়ং নাট্য সংস্থার পক্ষে নির্মল হাজরা জানালেন, শিশু ও কিশোরদের মধ্যে নাট্যচেতনা জাগাতে এবং জেলার বিদ্যালয়গুলিকে নাটকে উৎসাহিত করতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।