বাতিল কাকতাড়ুয়া প্রসঙ্গে –
প্রথমে ১৯৭৫ সালে জরুরী অবস্থায় এটি একটি গান হিসেবে লেখা গণসঙ্গীতের আকরগ্রন্থ ‘গণ সঙ্গীত সংগ্রহ’ গ্রন্থে সংকলিত। পরে ১৯৮৫তে সলিল চৌধুরীর আগ্রহে তাঁর সি এক আর স্টুডিওতে বন্ধু কল্যাণ সেন বরাটের সংগীতায়োজনে ক্যালকাটা কয়ারের শিল্পীদের দ্বারা গীত ও রেকর্ডিংকৃত। কথা ও সুর- শুভ জোয়ারদার। তারও পরে এটি নৃত্যনাট্য এবং নাটিকা আঙ্গিকেও, বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পুতুলনাট্য কর্মশালায় প্রযোজনার ভিত্তিতে নির্মিত ও অভিনীত। এছাড়া সারেগামা থেকে পীযুষকান্তি সরকার এটি নিজের কন্ঠে রেকর্ড করেছিলেন, গণসংগীত হিসেবে।
বাতিল কাকতাড়ুয়া
ডঃ শুভ জোয়ারদার
#
আমি এক বাতিল কাকতাড়ুয়াঃ
মেটেহাঁড়ি চুনকালিতে। তালিমারা ফতুয়াতে
ধনেক্ষেত পাহারা দিই একপায়ে ভর দিয়া
আমি এক বাতিল কাকাতাড়ুয়া।।
#
এ জমির ধান কাটা শেষ তুললো ঘরে কে?
শুধিওনা দোহাই বাবু, দোহাই তোমাকে।
শুধু চৌধুরীদের পাইকগুলো
সড়কি দিয়ে খুঁড়লো ধুলো
লুঠলো ধান আর বাগদিবুড়োর সবুজশরম হিয়া,
আমি এক বাতিল কাকতাড়ুয়া।
#
বাগদি পাড়ার মেঠোপথে আর বাজে না সুর
এলোমেলো হঠাত ঝড়ে এযে নিঝুমপুর।
মানুষ হলে থাকতো দু চোখ
মুখ- নাক- কান- পা
পদাঘাতের প্রতিশোধে কাঁপত আমার গা।
দিনে দুপুরে দালান কোঠা হুড়মুড়িয়ে পড়তে গোটা
বুক বাতাসে দুতাম লিখে সুখের শতকিয়া।
আমি এক বাতিল কাকতাড়ুয়া।
#
আমি তো আর নেইকো মানুষ,
নেই কো আমার মন,
নাইকো বুখে অনুভুতি
জড়ের জীবন।
#
আমি যদি মানুষ হতাম ঘৃণার আগুনে,
দাবানল লাগিয়ে দিতাম সুখের দালানে।
ঠাকুরদার গল্প বলে জাগাতাম বাগদি কুলে
লাগাতাম পেলয়নাচন তাথিয়া তাথিয়া,
আমি এক বাতিক কাকতাড়ুয়া
কাব্যের সম্পূর্ণ অংশই শর্ত সাপেক্ষে গ্রন্থিত হল। এই নাটকের কপিরাইট @ ডঃ শুভ জোয়ারদার ।