গড়িয়া একত্রে -র প্রযোজনা, উৎপল দত্ত -এর নাটক ‘ঠিকানা’

- Advertisement -

প্রেমাঞ্জন দাশগুপ্ত

সাল ১৯৭১। মুক্তিযুদ্ধ। পাক হানাদার বাহিনী সক্রিয়। বাঙালির উপর নেমে আসে এক অসহনীয় বর্বরতা। পাকিস্তানি অমানবিক, নৃশংস চক্রান্তে জেরবার বাংলাদেশ। এমনই এক অবস্থা, এক ঘৃণ্য চক্রান্তের শিকার ছ-জন বাঙালি। পাঁচ প্রাপ্তবয়স্ক ও এক শিশু।

বর্ষীয়ান নট, নাট্যকার, পরিচালক প্রণম্য উৎপল দত্তের কলমে চিত্রিত এ নাটক ‘ঠিকানা’। সম্প্রতি ‘ গড়িয়া একত্রে ‘ নাট্যদল মঞ্চস্থ করল এ প্রযোজনা ২১ মে, ২০২৪, মঙ্গলবার, একাদেমি মঞ্চে, সন্ধে সাড়ে ছটায়।

প্রখ্যাত নাটককার শ্রী উৎপল দত্ত বিরচিত চরিত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খতা এ নাটকের সম্পদ। একদিকে পার্থিব ও অন্যদিকে মনস্তাত্ত্বিক বিচ্ছুরণ প্রতিটি চরিত্রচিত্রণের ক্ষেত্রে এক অনির্বচনীয় সৌকর্য।

‘গড়িয়া একত্রে’ এই উপস্থাপনায় সার্থক। দলগত অভিনয় ঈর্ষনীয়। পরিচালক ভাস্কর সান্যাল – এর পরিবেশন, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল ভাবনা এবং তার আবেশের অবিকৃতি প্রশংসার দাবি রাখে।

সার্বিকভাবে সকল কলাকুশলীর অভিনয় দক্ষতা প্রশংসনীয়।  উল্লেখ্য নাণী তথা রশিদা খাতুন চরিত্রে প্রমিতা ব্যানার্জী, হাসিবুন চরিত্রে সুরঞ্জনা মন্ডল, আনিসুজ্জামান চরিত্রে ধ্রুব মুখার্জী, ক্যাপটেন চরিত্রে শংকরী প্রসাদ মিত্র, সেলিমা চরিত্রে স্বস্তিকা হুই , শের খাঁ চরিত্রে কার্তিক মন্ডল ও ওয়ালিউল্লাহ চরিত্রে ভাস্কর সান্যাল। আলোক নির্দেশে বাবলু সরকার বিশেষভাবে উল্লেখ্য। নীলকৌশিকের মঞ্চ ও দীপ্ত কৈরীর   আবহ সুন্দর ও যথাযথ।

তথাপি কখনো কখনো নাটক গতিশীলতার ক্ষেত্রে কিঞ্চিৎ শ্লথ অনুভূত হয়েছে।

পরিচালক ভাস্কর সান্যাল-এর এ বিষয়ে ন্যূনতম পরিমার্জন এ প্রযোজনাকে সংরক্ষণযোগ্য করে তুলতে পারে।

- Advertisement -
সাম্প্রতিক পোস্ট
এধরনের আরও পোস্ট
- Advertisement -