অণুনাটক ‘চেনা অচেনা’

- Advertisement -

বারীন চক্রবর্তী

(স্টেশন চত্বরে এক বৃদ্ধকে ঘোরাফেরা করতে দেখে জি আর পি-র এক কনস্টেবল বৃদ্ধকে ধরে অফিসারের কাছে নিয়ে আসে! বৃদ্ধের শরীরে শতচ্ছিন্ন নোংরা পোষাক! কাঁধে ছেঁড়া লম্বা ব্যাগ! মুখ ভর্তি দাড়ি! শরীরে দুর্গন্ধ! ) 

কনস্টেবল: স্যার গত দুদিন ধরে দেখছি এই লোকটা স্টেশন চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছে! নাম জিজ্ঞেস করলে চুপ করে থাকে! খালি নিজের মনে কি যেন বিরবির করতে থাকে, আর হাসতে থাকে! 

অফিসার: (টেবিলে কাজ করতে করতে আড়চোখে একবার বৃদ্ধর দিকে তাকিয়ে) ঠিক আছে আপনি যান, আমি দেখছি! 

(অফিসারের নির্দেশ পেয়ে কনস্টেবল বাইরে বেরিয়ে যায়! এরপর নিজের কাজ বন্ধ করে বৃদ্ধের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন!) 

অফিসার: কি নাম তোর? 

বৃদ্ধ: খুব ক্ষিদে পেয়েছে গো! দাও না কিছু খেতে? 

অফিসার: প্রথমে বল তোর নাম কি? কোথায় থাকিস? 

বৃদ্ধ: আগে খেতে দাও, তারপর বলব! 

অফিসার: মামাবাড়ির আবদার! প্রশ্নের উওর না দিলে, এমন খাওয়া খাওয়াব, চোদ্দগুষ্ঠীর নাম ভুলে যাবি! 

বৃদ্ধ: (অস্পষ্ট ভাবে নিজের মনে বিরবির করতে থাকে) চোদ্দগুষ্ঠী! সে কি আর এখন খুঁজে পাওয়া যাবে? একগুষ্টির নাম মনে রাখা যায় না, তার আবার চোদ্দগুষ্ঠী! 

অফিসার: কি বলছিস জোরে বল? 

বৃদ্ধ: বুঝতে পারলে না তো! একে ইংরেজিতে বলে Soliloquy! Soliloquy! 

অফিসার: সেটা আবার কি? 

বৃদ্ধ: Soliloquy মানে স্বগতোক্তি! নাটকে এগুলো খুব ব্যবহার হয়! এই একটু কিছু খেতে দাও না গো! 

অফিসার: এ তো বড্ড ঝামেলা! আগে নিজের নাম বল, কোথায় থাকিস বল, তারপর তোকে খাওয়াব! 

বৃদ্ধ: যদি না বলি তাহলে? 

অফিসার: লকআপে ঢুকিয়ে পেঁদিয়ে বৃন্দাবন দেখিয়ে দেব! 

বৃদ্ধ: তাহলে খেতে দেবে তো? 

অফিসার: দেখি তোর ঝোলায় কি আছে? এখানে, এই টেবিলের ওপরে রেখে দে! (ধমকের সুরে) রেখে দে বলছি! 

(বৃদ্ধ ভয়ে ভয়ে নিজের ছেঁড়া ব্যাগ টেবিলের ওপর রেখে দেয়! অফিসার ব্যাগ খুলে জিনিসপত্র বের করতে থাকে! সেই ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসে, মলিন লাল কাপড় দিয়ে বাঁধানো লেখার লম্বা খাতা, বিভিন্ন রঙের বলপেন, ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো, ইংরেজি সংবাদপত্র, স্টিলের থালা গ্লাস, প্লাস্টিকের বোতল! তারপর অফিসার একসময় বাঁধানো লেখার খাতা উল্টে পাল্টে দেখতে থাকে!) 

অফিসার: এগুলো কে লিখেছিস? দেখে তো মনে হচ্ছে সব নাটক! 

বৃদ্ধ: হ্যাঁ গো হ্যাঁ, নাটক নাটক! পড়ে শোনাব? ঐ চেনা অচেনা নাটকটা? 

অফিসার: তোর নাটক আগে কোন দল মঞ্চস্থ করেছে? 

বৃদ্ধ: করবে না কেন গো? খুব করেছে! কিন্তু একটা কথা কি জানো? 

অফিসার: কি কথা? 

বৃদ্ধ: কত দল আমার নাটক নিয়ে যায়! রজনীর পর রজনী, শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে, মঞ্চস্থ করে! আমার একটা কানাকড়িও কেউ হাতে ঠেকায় না! জিজ্ঞেস করলে বলে, ভিখিরির মত পয়সা চাস কেন র্র্যা ? আমরা তোর নাটক না করলে, তোকে কেউ চিনতও না! তারপর ভাবতাম, সত্যিই তো আমার লেখা নাটক যদি কেউ না করে, লোকে আমাকে চিনবে কি করে? 

(অফিসারের কানের কাছে বৃদ্ধ মুখ নিয়ে যায়!) 

বৃদ্ধ: একটা কথা বলব, কাউকে বলবে না তো? 

অফিসার: আবার কি কথা? 

বৃদ্ধ: (মুখে হাসি নিয়ে)  এই শহরের কত্তো মানুষ আমার নাটক ঝেঁপে ঝেঁপে মহান নাট্যকার হয়ে গেল, সে কথা জানো? 

(ব্যাগ থেকে জিনিসগুলো বের করতে করতে হঠাৎ কয়েকটি নাটকের বই বেরিয়ে আসে! অফিসার এক এক করে বইগুলোর নাম উচ্চারণ করতে থাকে!) 

অফিসার: নবান্ন, বিজন ভট্টাচার্য! জ্বালা, ঋত্বিক ঘটক! ছেঁড়া তার, তুলসি লাহিড়ী! চাঁদ বনিকের পালা, শম্ভু মিত্র! ভালো মানুষ, অজিতেশ বন্দোপাধ্যায়! দুঃস্বপ্নের নগরী, উৎপল দত্ত! অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ অব অ্যান এনারকিষ্ট, দারিও ফো! এনিমি অব দ্য পিপল, হেনরিক যোহান ইবসেন! 

(অফিসার নাটকের বইগুলো দেখে বৃদ্ধর দিকে তাকিয়ে থাকে!) 

বৃদ্ধ: তাকিয়ে আছ কেন? আমার জমানো পুঁজি তোমার হাতে তুলে দিলাম! এবার নিশ্চয়ই তুমি আমাকে খেতে দেবে? 

অফিসার: এগুলো তো সব নাটকের বই! এই বইগুলো তোর জমানো পুঁজি? 

বৃদ্ধ: হ্যাঁ গো হ্যাঁ! সেই কবে থেকে, যতদিন শরীরে শক্তি ছিল, এই পুঁজিগুলো নিয়েই তো বেঁচে ছিলাম! তখন খিদে পেত না! শুধু আমি কেন গো, আরো কত মানুষ আমার মত বেঁচে ছিল, বেঁচে আছে! কেন বলো তো? 

(অফিসার চুপ করে বৃদ্ধকে দেখতে থাকে!) 

বৃদ্ধ: বলতে পারলে না তো? তোমাকে দোষ দিয়ে আর কি হবে! তুমি বলবেই বা কি করে? কারণ দুশো বছরের ইতিহাসে, তুমি আমাদের কথা ভাবার সময় পাওনি যে! ডেকে কোনদিন জিজ্ঞেস করনি, কিসের অভাব তোদের? অর্থ সম্মান ভালবাসা হাততালি? না গো না!  তুমি হয়তো জান না, এই দুর্ভাগা দেশে কত মানুষ নিজের কথা না ভেবে খালি সমাজের কথা ভেবেছে যে! দিনের পর দিন খালি পেটে বঞ্চনা গঞ্জনা সয়ে সয়ে সমাজকে নিজের ভেতর থেকে যা কিছু উজার করে দিয়েছে, তার এক শতাংশও কখনও ফিরে পায়নি গো! তবুও তারা বোকার মত দিনের বেলা স্বপ্ন দেখে জান? গান করে! মনে মনে ভাবে, যাতে এই পৃথিবীতে সবাই দুঃখকষ্ট থেকে রেহাই পায়! চলো এবার! 

অফিসার: কোথায়? 

বৃদ্ধ: কেন খেতে! এইমাত্র তুমি বললে না, লকআপে ঢুকিয়ে প্যাদানি দিয়ে, বৃন্দাবন দেখিয়ে, আমাকে খেতে দেবে! মাইরি বলছি, কতকাল আমি খাই নি! 

(অফিসার বৃদ্ধের কথা শুনে বিচলিত হয়ে ওঠে!) 

অফিসার: কি খাবেন বলুন? আমি আপনাকে আপনার পছন্দমত সবকিছু খাওয়াব! তার আগে আপনি আপনার নাম ঠিকানা বলুন! 

বৃদ্ধ: আমার নাম ঠিকানা নিয়ে তোমার কি হবে গো? ঐ যে আমার পুঁজিগুলো টেবিলের ওপর রাখা আছে, সেখানেই তো আমার ঠিকানা! 

অফিসার: এগুলো তো সব নাটকের বই! ঠিকানা কি করে হলো? 

বৃদ্ধ: এবার যদি তুমি আমার নাম জিজ্ঞেস কর, তাহলে আমি কি বলব বল তো? 

অফিসার: আপনিই বলুন না, কি নাম হতে পারে আপনার? 

বৃদ্ধ: একটাই আমার নাম, শুনবে? আমার নাম হলো, নাট্যকর্মী! 

অফিসার: নাট্যকর্মী! আপনি যদি একজন নাট্যকর্মী হয়েই থাকেন, তাহলে আজ আপনার এই দশা হল কি করে! 

বৃদ্ধ: তুমি কখনও কাউকে ভালবেসেছ? 

অফিসার: যেমন? 

বৃদ্ধ: কোন মেয়েকে? 

অফিসার: হ্যাঁ! 

বৃদ্ধ: আমিও ভালবেসেছিলাম গো! আমিও ভালবেসেছিলাম! কাকে জান? 

অফিসার: কাকে? 

বৃদ্ধ: নাটককে গো নাটককে! যতদিন আমার শক্তি ছিল, সে আমাকে ব্যবহার করেছে! অন্যের লেখা সংলাপ আমার মুখে বসিয়ে দিয়ে বলেছে, আমাকে যদি ভালবাসতেই হয়, তোর হৃদয়ের সাথে আমার হৃদয়ের সংযোগ ঘটিয়ে নে, তারপর নিজের রক্তপ্রবাহে মিশিয়ে চীৎকার করে বলতে থাকবি, আমি তোমাকে ভালবাসি গো, আমি তোমাকে ভালবাসি! সেই ভালবাসা বইতে বইতে বইতে, আমি আমার বয়স, পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবকিছু ভুলে গিয়েছিলাম! চোখে তখন একটাই স্বপ্ন আমাদের, মুক্তি মুক্তি মুক্তি! কিন্তু সেই মুক্তির দরজায় আঘাত করতে করতে আজ আমি ভীষণ ক্লান্ত গো! ভীষণ ভীষণ ক্লান্ত! 

(অফিসার টেবিলের কোনে লাগান সুইচ টিপে বেল বাজাতেই একজন কনস্টেবলের প্রবেশ!) 

কন্সটেবল: ইয়েস স্যার! 

অফিসার: স্টেশনের স্টলে কি কি ভালো তাজা খাবার আছে দেখুন তো? আপনার পছন্দমত সেগুলো নিয়ে আসুন! ও হ্যাঁ, প্লেটে সাজিয়ে নিয়ে আসবেন! এই নিন টাকা! 

(অফিসারের হাত থেকে টাকা নিয়ে কনস্টেবল বেরিয়ে যায়! ) 

অফিসার: (বৃদ্ধের প্রতি) হ্যাঁ, কি যেন বলছিলেন, আপনি যেন কতদিন খাননি? 

বৃদ্ধ: সেই যখন থেকে শিশির ভাদুড়ীর সাথে, উৎপল দত্তের সাথে, বিজন ভট্টাচার্যের সাথে, শম্ভু মিত্রর সাথে, অজিতেশ বন্দোপাধ্যায়ের সাথে, নীলকন্ঠ সেনগুপ্তর সাথে, অভিনয় করছিলাম, তখন থেকে! 

অফিসার: এতদিন যদি আপনি কিছু না খেয়ে থাকেন, তাহলে আপনি বেঁচে আছেন কি করে? 

বৃদ্ধ: সত্যিই তো, আমি বেঁচে আছি কি করে? হয়তো তখন আধপেটা খেয়ে থাকতাম! অথবা যা পেতাম তাই খেতাম! এই আমি কিন্তু সত্যি বলছি, আমি অনেকদিন ধরে কিছু খাই নি! এই যে তুমি আমার খোঁজ নিচ্ছ, সমাজের আর কেউ জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করে না, আমি খেয়েছি কিনা? সব পেট বুঝলে! (রেগে যায়) যদি ক্ষমতা থাকত, এই শালা পেটের ভিতরে লাথি মেরে মেরে জিজ্ঞেস করতাম, তুই কে রে, কোথা থেকে এসেছিস? কেন এসেছিস? তোর এই পেটের জন্য লজ্জার মাথা খেয়ে নির্লজ্জের মত মানুষের কাছ হাত পাততে হয়! মগজ বিক্রি করে তোর জন্য আমাকে খাবার যোগাড় করতে হবে! 

(বৃদ্ধ উত্তেজিত হয়ে পড়েন! কনস্টেবল খাবার নিয়ে প্রবেশ করে!) 

কনস্টেবল: স্যার, খাবারগুলো টেবিলের ওপরে রাখি? 

অফিসার: হ্যাঁ রাখুন! একটু পরে এক গ্লাস জল দিয়ে যাবেন! 

কনস্টেবল: আচ্ছা স্যার! 

(কনস্টেবল বেরিয়ে যায়! অফিসার খাবারের প্লেট টেবিলের থেকে তুলে নিয়ে এসে বৃদ্ধর মুখের সামনে ধরে!) 

অফিসার: নিন ধরুন! 

(অফিসারের হাত থেকে প্লেট নিয়ে বৃদ্ধ খাবার চেষ্টা করে! শরীর কাঁপতে থাকে! হাতের খাবার মাটিতে পড়ে যায়! অফিসার দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসে!) 

অফিসার: আমাকে দিন, আমি আপনাকে খাইয়ে দি! 

বৃদ্ধ: এই রে, একটা ভুল হয়ে গেল যে! 

অফিসার: ভুল! কার? 

বৃদ্ধ: দাঁড়াও, আগে জামাকাপড় খুলি, তারপর বলছি! 

অফিসার: হঠাৎ আপনি জামাকাপড় খুলতে যাবেন কেন? 

বৃদ্ধ: এইমাত্র তুমি বললে না, আগে পেঁদিয়ে বৃন্দাবন দেখাবে, তারপর খেতে দেবে! 

(বৃদ্ধ শরীর থেকে জামাকাপড় খোলার চেষ্টা করে! অফিসার বাধা দেয়!) 

অফিসার: ভুল হয়ে গেছে! আমি আপনাকে কখনোই মারব না! ছেলে কি কখনও বাবার গায়ে হাত দেয়! 

বৃদ্ধ: ছেলে! আমার কোন সন্তান নেই গো! 

অফিসার: আছে কি নেই আমি পরে বুঝব! এখন এই খাবারগুলো খেয়ে নিন! 

বৃদ্ধ: আমাকে দয়া দেখাচ্ছ না তো? 

অফিসার: দয়া! ছেলে বাবাকে দেখাবে দয়া! আজ একটা কথা বলতে আমার খুব লজ্জা করছে, দশকের পর দশক বেরিয়ে গেলেও আমরা এখনও আপনাদের জন্য সেইভাবে ভাবিনি! কলেজে পড়াশোনা করতে করতে একদিন আমরাও মুক্তির পথ খুঁজেছিলাম! 

বৃদ্ধ: তারপর? 

অফিসার: পরিবারের চাপে পড়ে সেই পথ আর খোঁজা হল না! চাকরির পেছনে দৌড়তে থাকলাম! 

বৃদ্ধ: তাই তো হয়! কমফর্ট জোন ছেড়ে আমরা কেউ চাই না যে, ব্যবস্থাকে ভেঙে তছনছ করে দিতে! মুক্তি আসবে কি করে! 

(অফিসার প্লেট থেকে খাবার তুলে নিজের হাতে বৃদ্ধকে খাওয়াতে থাকে! বৃদ্ধর চোখে জল!) 

বৃদ্ধ: আমাকে আবার খেতে দেবে তো? 

অফিসার: হ্যাঁ হ্যাঁ, আপনি যা খেতে চাইবেন, আমি আপনাকে তাই খাওয়াব! যতদিন আপনার পরিবারের খোঁজ না পাই, আপনি আমার সাথে থাকবেন স্যার! অবসর সময়ে বসে বসে গল্প শুনব! 

বৃদ্ধ: কিসের গল্প? 

অফিসার: ঐ যে যাদের যাদের সাথে আপনি মঞ্চে অভিনয় করেছেন! শিশির ভাদুড়ী, শম্ভু মিত্র, উৎপল দত্ত, বিজন ভট্টাচার্য, অজিতেশ বন্দোপাধ্যায়, যাদের অনুপ্রেরণা বহন করে এতটা পথ আপনি হেঁটে এসেছেন! 

(কনস্টেবল গ্লাসে করে জল নিয়ে আসে!) 

কনস্টেবল: স্যার, জল! 

অফিসার: টেবিলের ওপর রেখে দিন! এরপর আপনি এক কাজ করবেন, ইন্সপেক্টর শান্তি ভূষণ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করে, এই ভদ্রলোকের ব্যাপারে আমাদের কাছে যা যা তথ্য আছে সেগুলো ছবি সহকারে দূরদর্শনে এবং নিউজ পেপারে পাঠিয়ে দেবার ব্যবস্থা করুন! তার আগে বাইরে থেকে একজন নাপিতকে ডেকে ওনার চুল দাড়ি কেটে সাবান মাখিয়ে স্নান করাবেন! দু দুটো স্ন্যাপ নেবেন! প্রথমে দাড়ি চুল সহকারে বর্তমান অবস্থায়, তারপর ফ্রেশ হওয়ার পর! মনে থাকবে? 

(বৃদ্ধ পালাবার পথ খোঁজে!) 

বৃদ্ধ: (জোরে জোরে হাসতে থাকে!) তোমরা আমাকে বেঁধে ফেলতে চাইছ! তাই না? এই আমি চললুম! দেখি তো তোমরা আমাকে ধরতে পারো কিনা! 

(বৃদ্ধ অফিসারের রুম থেকে বেরিয়ে স্টেশন চত্বরে দৌড়তে থাকে! পেছনে জি আর পি-র কনস্টেবল!)

###############################

“সমাপ্ত”

©বারীন চক্রবর্তী 

19/09/2020

(All rights reserved. No part of the publication may be reproduced, stored in a retrieval system, or transmitted in any form, or by any means, electronic, mechanical, photocopying, stage performance, recording or otherwise, without the prior permission of the Playwright/publisher.) 

বারীন চক্রবর্তী 

24th March, 2023.

- Advertisement -
সাম্প্রতিক পোস্ট
এধরনের আরও পোস্ট
- Advertisement -