নিজস্ব প্রতিনিধি
বিভাব নাট্যএকাদেমীর ২৯ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তিন দিন (১৪ জুনে থেকে ১৬ জুন) ব্যাপী নাটকের উৎসবের শেষ দিন, গত ১৬ জুন তপন থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হল। প্রতিষ্ঠা দিবসের এই অন্তিম দিনে সম্বর্থনা দেওয়া হয়, মিউনাস নাট্যদলের কর্ণধার ও একজন একনিষ্ঠ এক নাট্যকার ও পরিচালক উৎসব দাসকে। তাঁর হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন, অনীক নাট্যদলের আর এক নাট্য ব্যক্তিত্ব অরূপ রায়। সম্মাননা পর্বে জানা যায়, বিগত বছরগুলিতে কারা এই বিভাব সম্মান পেয়েছেন তারই তালিকা। সেই তালিকায় মহাশ্বেতা দেবীর মতো আরও মহান নাট্যগুণীজনের নাম ধ্বনিত যায়। এবং এই সম্মান পেয়ে উৎসব দাস নিজে বিভাবকে কৃতজ্ঞতা নিবেদন করেন। অরূপ রায় তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে উৎসব দাসের কাজ সম্পর্কে ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এরপর মঞ্চে নিবেদিত হয় দুটি নাটক। যদিও নাটকের আগে মঞ্চে বিভাবের জেলার স্কুল গুলির নাট্য প্রতিযোগিতার নিয়ে, বিজয়ী স্কুলগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়, এবং তাদের কর্মীদের হাতে মানপত্র তুলে দেন অরূপ রায় ও উৎসব দাস। এ বছরের নাট্য প্রতিযোগিতার ফলাফল। প্রথম শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা ছুটি নাটকের জন্য পেয়েছে রাজবলহাট উচ্চ বিদ্যালয়। দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা ‘হে নিম বন্ধু নিম’ নাটকের জন্য পেয়েছে হালিশহর আদর্শ বিদ্যাপীঠ। তৃতীয় শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা ‘সুকুমার সম্ভব’ নাটকের জন্য পেয়েছে উদয়পুর হরদয়াল নাগ আদর্শ বিদ্যালয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন প্রদীপ মাইতি (ছুটি নাটক)। শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন আকাশ চ্যাটার্জি (ছুটি নাটক)। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন প্রতিতি দাস ( অক্ষর নাটকের জন্য, নবগ্রাম হীরালাল পাল বালিকা বিদ্যালয়)
প্রথম নাটক মঞ্চস্থ হয়, বিভাব নাট্য একাডেমী প্রযোজিত মুদাসসার হোসেন ছোট্টুর লেখা নাটক ‘অন্য সম্রাট’। এই নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন গুঞ্জন প্রসাদ গাঙ্গুলি। নাটকটির উপস্থাপনায় খুশী হয়ে দর্শক করতালি দিয়ে তাদের অভিনন্দিত করেছে। নাটকের বিষয়বস্তু ও উপস্থাপনা বেশ ভাল হয়েছে বলেই দর্শক জানিয়েছেন।
এরপর দ্বিতীয় নাটক কাচরাপাড়া ফিনিক প্রযোজিত শান্তনু মজুমদারের নাটক ‘বার বার ফিরে আসি’ যার নির্দেশনা দিয়েছেন কাবেরী মুখার্জী। এই নাটকটিও সমানভাবে দর্শক মনে দাগ কাটে। এবং নাটকের আধুনিক উপস্থাপনার জন্য দর্শকধন্য হয়। নাট্যকার হিসেবে শান্তনু মজুমদার নাট্য মহলে বেশ সুপরিচিত এক নাম।
সব মিলিয়ে তাঁদের প্রতিষ্ঠা বর্ষ যাপন শেষ হয় মিষ্টি মুখের মধ্য দিয়ে। সব উপস্থিত দর্শককে তারা একটা ক্যাডবেরি চকোলেট দিয়ে আপ্যায়ন করেন। শেষে, দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দলের প্রাণপুরুষ সঞ্জয় সেনগুপ্ত ।