যুদ্ধের শেষ প্রহরে নাটকে সময়ের অবচেতন যন্ত্রণায় ব্যান্ডেল নান্দনিক

- Advertisement -

দুলাল চক্রবর্ত্তী

ব্যান্ডেল নান্দনিক নির্মাণ করেছে যুদ্ধের শেষ প্রহর নাটকটি। বিশিষ্ট নাটককার অমিতাভ চক্রবর্তী লিখেছেন একটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অন্যরকম গল্প। যে গল্পে পায়ের তলায় মাটি খোঁজে হৃদয়। ব্যপৃত থাকে আত্ম বিশ্লেষক অনুসন্ধিৎসা। অনেকটাই ম্যাজিক রিয়েলিটি দিয়ে কী ঘটছে, কেন ঘটা দরকার, ঘটনার উৎস বিন্দু কোথায়, তা বলার চেষ্টা হয়েছে। নির্দেশক সমীরণ সমাদ্দার কিছুটা রিয়েলিটি, আর বাকিটা ফ্যান্টাসি দিয়েই বিদেশি নাটকের স্টাইলে নাটককে সাজিয়েছেন। বেশ কঠিন এই নাটকের মঞ্চ ভাষা আবিস্কার করা এবং অভিনয় স্কিমিং দিয়ে গল্পটা তুলে ধরা। সমীরণ সমাদ্দার নিজের বোধ দিয়েই একটা ধোঁয়াটে অলিন্দ পথে নাটকের কঠিন অস্তিত্বকে দর্শকদের সামনে এনেছেন। সঙ্গীত নাটক একাডেমির আর্থিক সহায়তায় নাটকটি নির্মিত হয়েছে।

ঝড় বৃষ্টির রাতে দুই প্রতিপক্ষ মানুষের এক কামরার বদ্ধ ফ্ল্যাট ঘরে দাবা খেলা চলেছে। তাদের হারা জেতায় অলীক কুয়াশা ঢাকা সাসপেন্স রয়েছে। সত্যিই কি ঠিকঠাক এসব ঘটছে? না কি ঘটার পূর্বাভাস মাত্র? অথবা কিছুই নয়। ঘটনা শুধুই কল্পনা। রাগের বহিঃপ্রকাশ। মনোবিলাপে বিপর্যস্ত বিধ্বস্ত সময়ের কান্না। একজন যুদ্ধ ক্লান্ত আহত মানুষ ঝড় বৃষ্টির রাতে অবসন্ন মনে যুদ্ধের পরিণতিতে জিতে যেতেই স্বপ্ন মুখরিত উল্লাসে অতীত কথার আত্ম চর্বন করে চলেছেন। হিসেব করে উত্তর খুঁজে চলেছে। বিপ্লব ভুন্ডুলের পরে এইকি তবে আত্মা মথিত আত্মরতির অন্যন্য বিলাস? হবে হয়তো…তবে সে-ই শুধু আছে। আছে একজনের একক মন। সাথে আছে একটা মন পোড়ানো আগুনের দ্যুতি। কিছুটা উত্তপ্ত, কিন্তু বিক্ষিপ্ত বিভ্রান্ত নয়। সংযত অন্তরমুখী, ঢিলেঢালা বিলাপে শেষ প্রহরের আরেক যুদ্ধের ম্যাজিক ইফ…যদি এমন হতো, যদি তাকে পিস্তলের সামনে পাওয়া যেতো, যে-দিন গেছে চলে, সেদিনের পাল্টা জবাব যদি দেওয়া যেত….এভাবেই বয়ে গেছে নদীর মত নাটকের ভাসমান ফ্ল্যাট দেহ, যেন মৃত দেহ ভেসে চলেছে অদৃশ্য অদৃষ্ট অনুসারে। নিরুত্তাপ নির্বিকার চোখ চাওয়া। তাপমাত্রায় তাপিত নয় ঘটনার ক্লাইম্যাক্স। যেখানে শুরু, যেভাবে শুরু, সেখানেই শেষ,…. নাকি অশেষ অংশদানে অংশীদারদের কে কোথায় কীভাবে ঘুমিয়ে পড়েছে, তাদেরকে পাশ ফিরে শুতে বলা। বেশ কঠিন এই নাটকের কথা বলা। শুধু মন ভাল নেই এই সংবাদে না বলা কথাদের গর্ত থেকে টেনে বের করে এনে মুখোমুখি বসা।

ব্যান্ডেল নান্দনিকের এই নাটকের তিন চরিত্রে, পরাজিত বিপ্লবী গৌতমের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সরিৎ ভট্টাচার্য। দাপুটে পুলিশ অধিকর্তা অমলেন্দু সেনের চরিত্রে অজয় দেবনাথ। রজতাভ চরিত্রে নির্দেশক সমীরণ সমাদ্দার নিজেই রূপদান করেছেন। কে কতটা ভাল, কতটা কি ত্রুটির, তা এই নাটকের ক্ষেত্রে আলোচনা অনাবশ্যক। কারণ নাটকীয় ধারণা এখানে ভিন্ন। প্রথাগত অভিনয় পরম্পরায় এই নাটকটি নির্মিত নয়। অজয় দেবনাথের মঞ্চ ভাবনা এই নাটকের সম্পদ। সাথে শুভাশিস পালের টানা সাসপেন্স উদ্রেক করা আবহ যথাযথ লাগে। একটা রহস্যময় গল্পের প্রকাশে মাঃ বাপির আলোক ভাবনাও মন্দ নয়। সমস্ত পরিকল্পনা সহ যথেষ্ট চিন্তা ভাবনা করেই সমীরণ সমাদ্দার এরকম কঠিন নাটকের মোকাবিলা করেছেন। এবার জানি গল্পের ভেতর বাইরের স্তরগুলো, ধোঁয়া ধুলো ঘেঁষে কীভাবে চলে গেছে নাট্য-ঐকতানে।

আসলে, সে একজন মানুষ। নাম গৌতম। সমাজের বদল চেয়েছিল সে। এক সময়ের রাজনৈতিক চেতনায় গৌতমকে নকশাল হতেই হয়েছিল। এই নিয়েই স্বপ্ন ছিল, ত্যাগ ছিল, দু মুঠো গরম ভাতের জন্যে ছিল বাড়ি আত্মীয় পরিজন ছেড়ে জঙ্গল জীবন যাপন। কিন্তু যোগ্য নেতৃত্ব আর সহযাত্রী যোদ্ধার অভাবও যেমন ছিল। তেমনি সরকারি কায়েমি ফ্যাসিবাদ পথভ্রষ্ট হতে বাধ্য করেছিল। ভেঙ্গে গেছিল সেই সঙ্কল্পিত সংগ্রাম। বেপথু হয়েছিল আন্দোলন। তাই সবই ছাইতে জল ঢালা, বৃথা। সমাজ বদলায় নি। উল্টে বদলে গেছে সময়। নগর সভ্যতায় যান্ত্রিক মননে উল্লসিত শহর আর মানুষের মন। মন ভাল নেই বাতাসেই বাণিজ্যিক ঘুড়ি উড়ে যায় সপিং মলের কেনাকাটায়। এই ফুর্তিবাজ সময়ের ধড়িবাজ ফন্দি ফিকিরে অনেক চাওয়াই এখন ঘোলাটে।

তথাপি থেকে গেছে দুঃসহ রাজনৈতিক সংগ্রামের বিনিময়ে পাওয়া পুলিশি অত্যাচারের বয়ে আনা স্মৃতি। তাই দুর্বল হয়েছে গৌতম। মনে প্রাণে বিপন্ন ও বিধ্বস্ত সে। প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতি করার অপরাধে ধরা পড়েছিল কোন অতীতে। জেলের ভিতরে মেরে মেরেই তার বিপ্লবাত্মক সমাজতান্ত্রিক চিন্তার অবলোপ ঘটানো হয়েছিল। পুলিশের অমানবিক অত্যাচারে আংশিক পঙ্গু হয়ে গেছিল সে।

এখন একটি পায়ে শক্তি কম। একদিন যে হতে চেয়েছিল অন্যের অবলম্বন, সে-ই এখন লাঠি ধরেছে। খুঁড়িয়ে হাঁটে। তার চলার পথে কুয়াশার মত অন্ধকার। অস্পষ্ট লাগে চেনা মুখগুলি। মুখোমুখি বসার মত প্রিয় কেউ নেই। তাহলে কী মনের অলিন্দে কেউ আসে আর মিলিয়ে অনির্দেশে পালায়? ক্রিয়া বিক্রিয়ায় কোন ঘটনা ঘটে? যেহেতু অচল হয়েছে, পথের দৌড় কম হলেও….থামেনি মনের চলা। তাই কোন রকমে পা চলে যায় সামনে। দ্রুতি নেই ঠিক। কিন্তু গন্তব্যে গমন ইচ্ছা একেবারে মরে নি। কিছু করে দেখাবার ছটফটানি জেগে আছে সারা রাত। বিনিদ্র রাতের হিসাব বিশ্লেষণ নিয়েই ক্লান্ত যখন। তখনই এক হ্যালোসিনেশন মুহুর্তের মুখোমুখি যেন।

কারণ গৌতম বোবা চোখে তাকায় চারিদিকে। জাঁকিয়ে বসেছে পুঁজিবাদ। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন তীব্র। বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী এক মেরুকরণের তন্ত্রসাধনা মগ্ন। রাষ্ট্রীয় থাবার বজ্র আঁটুনি হাত মানুষের গলায় চেপে বসেছে। নেতাদের উল্লসিত দোষারোপ দেওয়া নেওয়ায় ভিক্ষার্থী বাস্তবতায় জনগণ বিপন্ন। অন্যায় অবিচার হানাহানি লুটপাট দিয়েই ভোট আসে, ভোট যায়। পরিস্থিতি পাল্টায় না। ছলা কলার মধ্যেই বাহুবলী রাজতন্ত্র। ভোটের পরে সব শেয়ালের একই হুক্কাহুয়া উন্নয়ন। তাই নিরুপায় কান্নায় অসহায় ভাবনারা আসে বিপ্লবের দিকে, পথ খোঁজে। কি চাওয়া ছিল আর কি পাওয়া হলো। ভেতরে গুলিয়ে ওঠে পাঁক খাওয়া নাগরদোলা ঘুর্নায়মান আজকের স্থবির চিন্তা-প্রতাপ। টোটো গাড়িতে রাজপথ ছেয়ে আছে। বেকারদের রুটি রুজিরোজগার ছুটছে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। খিদে আর খাদ্যের ভিক্ষায় দু হাত পেতে দাঁড়িয়ে আছে মায়েরা। ভিক্ষাশ্রী শিক্ষাশ্রী করুনাময়তায় রাজনৈতিক মমতা ভালবাসা দিয়ে হচ্ছে মুরগী পোষা, সময়ে মদে মাংসে মোচ্ছব হবার গণতান্ত্রিক ভোট আসে। মানুষের দাম শুধু সাংবিধানিক ভোট অধিকার পাওয়া যাবে, কেবল সেই প্রকৃয়ায়।

চিন্তা চলছে। গৌতমেরা ভাবছেই। যুদ্ধ থামেনি। নিরন্তর চলছে। নিজেরই ভেতরে। প্রতিপক্ষ আছে, আছেই। একটা অন্তর যুদ্ধ থামছে না কিছুতেই। কামড়ে ছিঁড়ে টুকরো করার অপেক্ষায়। সেই-ই আসে, রোজ আসে, যে চরম তম শত্রু হয়েছিল জাতির। তাই আজকের যুদ্ধে, এক কামরার ফ্ল্যাটে—না বলা কথার স্তরেই চলে প্রতিশোধ স্পৃহা। স্বপ্নের রঙ লাল থেকে নীল হয়ে একেবারেই গেরুয়ায় এসে উপায় ভাবছে। রক্তাক্ত বাস্তবে কে লাল কে নীল অবুঝ মন তা কী জানে? তাহলে উপায়? গিরগিটি রাজনীতিবিদদের বর্ণ গন্ধ জাত ধর্ম কেমন এখন বোঝাই মুস্কিল। বরং বেরং এ ভরে গেছে সময়। কোন রঙই আর স্বধর্মে নেই। বেঁচে থাকার লাল বর্ণও সঙ্কোচ লজ্জ্বায় টিকে থাকার জন্যেই নুয়ে পড়ে ম্লান হয়ে আছে।

 এমন এক বাতাবরণের বাতাসে তাই এক কামরার ফ্ল্যাটে দাবার বোর্ডে ঝুঁকে বসে আছে পঙ্গু গৌতম ও নকশাল দমনকারী ডাকসাইটে দারোগা অমলেন্দু সেন। গৌতম তাকে কিস্তিমাত করে হারিয়ে একটু আনন্দ পায়। অমলেন্দু এই হার মেনে নিতে পারে না। পরাজয়ের প্রচন্ড হতাশা নিয়ে অমলেন্দু বাড়ি ফিরতে চায়। কিন্তু বাইরে তখন প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে বলে বেরোতে পারছে না। কথায় কথায় অমলেন্দু বলে গৌতমের পায়ের চিকিৎসার জন্য তার পরিচিত এক ডাক্তারের কাছে যেতে। গৌতম কোনো উত্তর দেয় না তার। ওখানেই আছে যে কান্নার স্তরের মেঘ। বৃষ্টিটা একটু কমলে গৌতম অমলেন্দুকে এগিয়ে দিতে সাথেই যায়। তারা ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেই সেই ঘরে প্রবেশ করে এক আগন্তুক যুবক। তার হাতে এক গোছা মোটা দড়ি। সে পড়ে আছে দেখতে পায় অর্ধ সমাপ্ত হেরে যাওয়া দাবার বোর্ড। সাজানো কিস্তিমাতের চেয়ারা। কিন্তু দিন বদলের এতে কী লাভ? ইতিমধ্যেই অমলেন্দু আর গৌতমের ফিরে আসে। যাওয়া হয় নি। কিন্তু ঘরের দরজা কী খোলা রেখেই তারা রওনা হয়েছিল? জিজ্ঞাসার স্তরে ঘুরপাক খেতেই অমলেন্দুর সন্দেহ হয়। ঘরে তৃতীয় ব্যক্তি কেউ আছে। সে যখন খুব উত্তেজিত, তখনই পিস্তল হাতে বেরিয়ে আসে আগন্তুক যুবক। ভয় দেখিয়ে তাদের বশ করে। তারপর গৌতমকে হুকুম করে অমলেন্দুকে বেঁধে ফেলতে। গৌতম নির্দেশ মতো সব করে । জানা যায় যুবকের নাম রজতাভ। সে জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন পর্বে ঢুকে পড়ে। জেরা চলে। সওয়াল-জবাব। এক সময় সে তাদের প্রস্তাব দেয় যে সে অমলেন্দুকে খুন করবে আর গৌতমকে তাকে হেল্প করতে হবে। তারপর, বিনিময়ে গৌতমকে সে ছেড়ে দেবে। রজতাভ গৌতমের কাছ থেকে জানতে পারে অমলেন্দুর আর গৌতমের বন্ধুত্বের কারণ। এই অমলেন্দুর জন্যই কীভাবে গৌতমের জীবনে নেমে এসেছিল চরম দুর্দশাময় অন্ধকার। গৌতমের মধ্যে লুকানো আছে অমলেন্দুর প্রতি চাপা ঘৃণা। গৌতমের কাছ থেকে অমলেন্দু জেনেছিল তার সঙ্গী সাথীদের রাজনৈতিক আড্ডার গুপ্ত ঠিকানা। যেখান থেকেই ভেস্তে গিয়েছিল সেদিনের রাজনৈতিক বিপ্লবের ভিত্তি পরিস্থিতি। সামনে চলা অসাম্যে ভরপুর স্বার্থ কেন্দ্রিক রাজনৈতিক বাতাবরণের দিকে তাকিয়ে অকর্মণ্য বিপ্লবীদের উত্তরসূরী সন্তানরা আজ গৌতমকে তীব্র ঘৃণার চোখে দেখে।

আসা যাওয়ার পথের ধারেই, অবসর জীবনে একদিন অমলেন্দুর সাথে গৌতমের দেখা হয়ে যায়। গৌতম যেচে কথা বলে। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় অমলেন্দু। মনেপ্রাণে গৌতম কিন্তু ভুলতে পারেনি জেলের সেই দুর্বিষহ দিনগুলোকে। তাই দাবার বোর্ডে বারবার অমলেন্দু কে হারিয়ে এক অদ্ভুত তৃপ্ত পায়। রজতাভ সব শোনার পর দুজনকে আবার নতুন করে দাবা খেলতে বলে। জানিয়ে দেয়, যে জিতবে সে বেঁচে যাবে। আর যে হারবে সে তার হাতে মারা যাবে। বাঁচার মরিয়া চেষ্টায় গৌতম আর অমলেন্দু জেতার জন্য আবার খেলতে বসে।

কিন্তু রজতাভ মিলিয়ে যায় তাদের মন থেকে । ভেতরের কান্না কী তবে এইভাবেই প্রতিদিন চিহ্নিত প্রতিবন্ধকতার সাথে কব্জির লড়াই চালাচ্ছে? প্রতিদিনের ক্ষয়-ক্ষতি-ক্ষত অব্যক্ত বাস্তব প্রতিবাদ হয়ে গলায় আটকে থাকেই? অথবা বুকের খুব গভীরে, অক্ষম ক্লীব জড়ত্ব বার্ধক্যের পঙ্গুত্ব বলে যুদ্ধক্ষেত্রই এখন মন? যাকে আঘাত দিচ্ছে প্রতিবাদ হীনতা, হীনমন্যতার আগুন। মেরুদন্ডহীনতার জ্বালায় দাহ্য হয়ে বিপ্লবের তাপিত হৃদয় কী এভাবেই জ্বলতে থাকে? একটা দাবার ঘুটির কিস্তিমাত তখন জয়ের প্রতীকী প্রতিক্রিয়া। যুদ্ধের শেষ প্রহর নাটক এমন অজস্র ভাবনাকে উসকে দেয়।

তবে প্রশ্ন জাগে একটাও মোচড় নেই কেন? কান্না হীন জয়ের আকুতি কীভাবে অলীক ছায়া যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে চিনবে? সমগ্র বাচিক বিন্যাসের আন্ডার টোন স্টাইলে একটা চিৎকার কী আসতে পারে না? এই নাটকের সর্বোচ্চ আদালত দর্শক। তাঁদের মত সাপেক্ষেই যুদ্ধের শেষ প্রহর নিজের চলমানতা খুঁজে নিক। আমার দেখা জানা চাপানো থিয়েট্রিক্যাল থিয়োরির বাইরেই ছুটুক এই নাটক। তবে উপরের নাট্য বহির্ভূত ঈঙ্গিত পূর্ণ আলোচনায় এই নাটকের ভিন্ন এক ধরতাই আছে। সেখানেও কিছু উপায় থাকলে থাকতেও পারে।

- Advertisement -
সাম্প্রতিক পোস্ট
এধরনের আরও পোস্ট
- Advertisement -