সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ চিত্রনাট্যের কপিরাইট স্বয়ং সত্যজিতেরই  

- Advertisement -

আর ডি বনশল ( R. D. Bansal) পরিবারের দাবি খারিজ করে দিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সি হরিশংকর। ১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নায়ক’ (Nayak) ছবির প্রযোজক ছিলেন আর ডি বলশল। এদিকে সম্প্রতি এই ছবিটি একটি উপন্যাস আকারে বা গদ্যরূপে লেখেন ভাস্কর চট্টোপাধ্যায় প্রকাশ করে হার্পার কলিন্‌স। আর এই খবরের সুত্র ধরেই বনশল পরিবার চলচ্চিত্রের প্রযোজক হবার সুবাদে অভিযোগ দায়ের করে মামলা করে। 

সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) সুপারহিট ছবির এমনই মাহাত্ম যে ৫৭ বছর পরও আজ এই ২০২৩ এ এসে নায়কের কপিরাইট কার এ নিয়ে যুদ্ধ করতে হয়। বনশল সেই সময়ের বিখ্যাত প্রযোজক। একের পর  এক হিট ছবি তাঁরা নির্মাণ করেছেন। কিন্তু সেই সুনাম ভাঙিয়ে সেই পরিবারের মুখে কালি মেখে দিলেন বর্তমান প্রজন্ম। সিনেমার প্রযোজক হবার স্বার্থে চিত্রনাট্য রচয়িতা সত্যজিতের স্বত্বও তাঁদেরই এমনি দাবি করে কোর্টে ছোটেন বনসল পরিবার।  

সত্যজিতের কলমে রচিত চিত্রনাট্যের কপিরাইট লেখকেরই এই রায়ই দিলেন দিল্লি হাইকোর্ট ( Delhi High Court)। আর সেই সুবাদে তাঁদের আনা অভিযোগের আর কোনো মুল্য রইল না। কোর্ট রায়ে বলেছে প্রয়াত শ্রী রায়ের পরবর্তী বংশধর সন্দীপ রায় এবং সোসাইটি ফর  প্রিজার্ভেশন অব সত্যজিৎ রায় আর্কাইভসই বর্তমানে ‘নায়ক’ কপিরাইটের মালিক। অর্থাৎ সন্দীপ রায় যদি মনে করেন সেই চিত্রনাট্য গদ্যরুপে কোন লেখক লেখেন তাহলে তাঁর অর্থাৎ সন্দীপ রায়ের সেই অধিকার আছে প্রকাশককে ছাপতে অনুমতি দেবার।  

আর ইতিপুর্বে প্রকাশক হার্পার কলিন্‌স সেই অনুমতি পত্র কোর্টে দেখিয়েছে। অর্থাৎ কোনোভাবেই এই কাজ আর অবৈধ নয়। বনশল ছবি প্রযোজনা করেছেন। চিত্রনাট্য লেখেননি। সে সময় চিত্রনাট্য দার্জিলিং এ বসে লিখেছিলেন শ্রীরায়। তার চিত্রনাট্যের স্বত্বাধিকার কোনোভাবেই বলশল পরিবারের নয়। তা চিত্রনাট্যকারেরই। আর বহুদিন আগে আনা এক অভিযোগের রায় এই সময়ে সমাপ্ত হওয়ায় শ্রী রায়ের একমাত্র পুত্র সন্দীপ রায় আস্থা পেয়েছেন দেশের আইনি ব্যবস্থার প্রতি।

- Advertisement -
সাম্প্রতিক পোস্ট
এধরনের আরও পোস্ট
- Advertisement -