নিজস্ব প্রতিনিধি
গত ১০ জুলাই বাংলা আকাদেমি সভা ঘরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক অনন্য শ্রবণ সন্ধ্যা। আয়োজক হিসেবে ছিলো এপিক নাট্য সংস্থা। যারা নিয়মিত মঞ্চ নাট্য চর্চার বাইরে গিয়ে বেশ কিছু বাচিক শিল্পী, গায়ক ও অভিনেতাদের সমন্বয়ে গড়ে তোলেন এই কর্মসূচী এবং পরিবেশন করলেন এক মনোজ্ঞ শ্রুতি সন্ধ্যা। যেখানে নাটকের গান, শ্রুতি নাটক, কবিতা কোলাজ জাতীয় নানা বাচিক শৈলী উপস্থিতিই প্রধান ছিল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নাটকের গান পরিবেশন করেন গোপা আচার্য্য ও স্বরাজ ভট্টাচার্য্য। এরপর পরিবেশিত হয় শ্রুতি নাটক। যাতে অংশ গ্রহন করেছে বৈতালিক, স্বর ও শ্রুতি ও এপিক। বৈতালিক পরিবেশন করে সুমিত দাশগুপ্তের দুটি নাটক, ‘অধরা মাধুরী’ ও ‘আশ্রয় নিরাশ্রয়’। প্রথম নাটকের কলাকুশলী কাকলী ব্রহ্মচারী ও সমীর বর্ধন। দ্বিতীয়টির সৃজন শিল্পীরা হলেন শ্রাবণী ভট্টাচার্য ও সুমিত দাশগুপ্ত। স্বর ও শ্রুতি-র পক্ষ থেকে পরিবেশিত হয় বনানী মুখোপাধ্যায়ের নাটক ‘ইচ্ছে হয়েছিলি’। যা শ্রুতিমুখর করেছেন শেফালি আচার্য্য ও জগদীশ মুখোপাধ্যায়। এছাড়া ধনঞ্জয় ঘোষালের ‘অপরাজিত উল্লাস’ নাটকটি শ্রুতি আকারে পরিবেশন করেন যতীন দাশ ও শর্মিষ্ঠা দাশ। সুপর্ণা বসু দে পরিবেশন করেন স্বরচনায় ও একক অভিনয়ে ‘দহন’ নাটকটি। আয়োজক দল এপিক পরিবেশন করে দেবা রায়ের নাটক ‘অপেক্ষা’, যার অভিনয়ে ছিলেন দিলীপ মজুমদার, আদিত্য দাস, স্বর্ণালী মজুমদার, পিনাকী বোস।

শ্রুতিনাটক পরিবেশনা ছাড়া ছিল কবিতা কোলাজ পর্ব। যেখানে খোলা আকাশ শিল্পাঙ্গন-এর ‘মৌলিক নিষাদ’ ও ‘মেঘ মন্দ্রিত ছন্দে’ উপস্থাপিত হয়। যার সংকলন ও পরিচালনা করেন সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর শৈল্পিক দল উপস্থাপন করে ‘নারী শক্তি’। যার সৃজনশিল্পীরা হলেন স্বর্ণালী মজুমদার, রূপা ঘোষ, মৌমিতা ঘোষ, চন্দ্রানী মিত্র। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বাচিক সংসদ ও অঞ্জলি গ্রুপ উপস্থাপন করেন তাদের কবিতা কোলাজ।
এই অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ ও আবৃত্তিতে ছিলেন যে আবৃত্তিকাররা, তারা হলেন অর্পিতা ব্যানার্জী, অনিতা ভট্টাচার্য্য, জলি বিশ্বাস, রঞ্জনা কর্মকার, নিপা চক্রবর্তী, বর্ণালি চৌধুরী, তৃপ্তি মণ্ডল, সীমা মিত্র ব্যানার্জী, যুথিকা বর্মন, মুনমুন বোস, কল্যানী মণ্ডল, শুভ্রা দাস।
অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিবেশনায় ছিলেন মুকুল চক্রবর্তী, সঞ্জয় বসু। সমগ্র অনুষ্ঠানের আবহ প্রক্ষেপণে ছিলেন সমর দত্ত। আর এই অনন্য শ্রবণ সন্ধ্যা যথাযথ সঞ্চালনা যার হাত দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে, তিনি রাখী রায়।
এপিক সংস্থার কর্ণধার দিলীপ মজুমদার মনে করেন, এই শ্রুতি সন্ধ্যা তাঁদের নাট্য চর্চার ধারাবাহিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এরকম আরও অনুষ্ঠান তাঁরা আগামীদিনেও আয়োজন করবেন বলে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান।