বিজয়কুমার দাস
২২-২৬ মার্চ যাদবপুর সংলগ্ন সন্তোষপুরে গড়ে ওঠা থিয়েটারের নতুন অঙ্গন অনুচিন্তন আর্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত হল পাঁচ দিনের নাট্য উৎসব। প্রথম সন্ধ্যায় উদবোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাট্য নির্দেশক মণীশ মিত্র, নাট্যশিক্ষক চন্দ্র দাসন, পূর্ব পশ্চিম নাট্যদলের কর্ণধার সৌমিত্র মিত্র, অভিনেত্রী সীমা ঘোষ, নাট্যজন নিলয় রায়। স্বাগত ভাষণ দেন টেন্থ প্ল্যানেট দলের নির্দেশক শরণ্য দে।
অতিথিদের হাত ছুঁয়ে উৎসবের উদনোধনের পরে পরিবেশিত হয় কসবা অর্ঘ্য পরিবেশিত, মণীশ মিত্র নির্দেশিত, সীমা ঘোষ অভিনীত ” পাণ্ডবাণী ” এবং টেন্থ প্ল্যানেট পরিবেশিত, শরণ্য দে নির্দেশিত ” গালিলিও” নাটক। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের আর্থিক সহায়তায় এই উৎসবে প্রথম দিন নাট্যশিক্ষক চন্দ্র দাসনের পরিচালনায় আয়োজন করা হয়েছিল একটি কর্মশালার। বাকী চারদিন ১৬ টি নাটক পরিবেশিত হয় কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার নাট্যদলের।
পরিবেশিত নাটকগুলি হল : বাত কুছ দিল কি ( মধুরিমা গোস্বামী), টু সোলস,গান্ধারী ( অশোকনগর নাট্যমুখ), গল্পটা এইটুকুই ছিল ( সবুজ সাংস্কৃতিক), আজ কাল পরশুরাম ( রিষড়া দূরায়ন), বিষছায়া ( আসানসোল চর্যাপদ), স্যাফো চিত্রাঙ্গদা ( দমদম শব্দমুগ্ধ) , শ্রীচরণকমলেষু( নৈহাটি রঙ্গসেনা), নাট্যকারের মৃত্যু ( কসবা উদ্ভব), অন্তরণ ( নান্দীকার) , একটি বেকার ছেলের আত্মকথন ( মালদা আগামী) , দেবতার গ্রাস ( কাঁকিনাড়া কলাবিতান),বেতাল ( যাদবপুর মন্থন), হ্যামলিনের ইয়ে ( মরমিয়া), থ্রি পেনী অপেরা ( টেন্থ প্ল্যানেট), লেটারস টু দ্য আনবর্ণ চিলড্রেন অফ ফতিমা ( সন্তোষপুর অনুচিন্তন)।
পরিবেশিত নাটকগুলির পরে নাট্যদলের নির্দেশকদের হাতে টেন্থ প্ল্যানেট স্মারক তুলে দেন উপস্থিত বিশিষ্ট জনেরা।প্রতিটি নাটক ভাবনায়, পরিবেশনায়, বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্যে ছিল নজরকাড়া।