নিজস্ব প্রতিনিধি
দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া শহীদ স্মৃতি সংঘের আয়োজনে প্রতিবারের মতো এবারেও আয়োজন করা হয়েছে চার দিন ব্যপী এক বিশাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। শহীদ স্মৃতি সংঘের মাঠেই দেখা যাবে এই অনুষ্ঠান। সুস্থ সংস্কৃতির স্বার্থে এই ক্লাবটি তার নিজস্ব ঐতিহ্য আজও বজায় রেখেছে। শীতের মরশুমের প্রাক্কালে অঞ্চলের মানুষের কাছে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঘিরে এক আবেগ কাজ করে। অঞ্চলে সুস্থ সাংস্কৃতিক বাতাবরণ রক্ষার কাছে নিঃসন্দেহে এরা গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে আসছে।
প্রথম দিন ১ ডিসেম্বর থাকছে যোগাসন প্রদর্শন, দেবলীনা নাথের আধুনিক গান, নৃত্যানুষ্ঠান ও সংঘের নিজস্ব নাট্য দল দক্ষিণের বাতাসের ছোটদের গ্রুপের নাটক রাধারমণ ঘোষের লেখা ‘এক ধামা আলু’। নির্দেশনায় অভীক ভৌমিক ও অর্কন ব্যানার্জী।
দ্বিতীয়দিন অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর থাকছে সংঘের নিজস্ব গানের আবেশ-এর পরিবেশনায় স্মরণে সুরকার সুধীন দাশগুপ্ত, পরিচালনায় সেঁজুতি দত্তগুপ্ত। এরপর থাকছে সংঘের গীটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সমবেত উপস্থাপনা। থাকছে নৃত্য আলেখ্য শিব তাণ্ডব, পরিচালনায় স্বগতা সঙ্গীতা চক্রবর্তী। এদিন থাকছে নিজস্ব নাট্যদলের দক্ষিণের বাতাসের আর একটি নাটক উদয়নীল ভট্টাচার্যের লেখা ‘বালিহাঁস’ , নির্দেশনায় সোমা চ্যাটার্জী ও দেবজ্যোতি ঘোষ।
তৃতীয়দিন থাকছে জয়িতা বাগচী চক্রবর্তীর উদ্বোধনী সঙ্গীত। আধুনিক গানে থাকবেন সৌরভ দত্তগুপ্ত ও সেঁজুতি দত্তগুপ্ত। থাকছে জয়ীতা সমাদ্দারের ভাবনা ও নৃত্য বিন্যাসে নৃত্য নাট্য ‘আমরা সবাই রাজা’, পরিবেশনায় সংঘের নিজস্ব নৃত্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এইদিন থাকছে আরও একটি নাটক, দক্ষিণের বাতাসের প্রযোজনায় কিরণ মৈত্রের ‘ধন্বন্তরী’, সম্পাদনা ও পরিচালনায় দেবা রায়।
চতুর্থদিন অর্থাৎ শেষ দিনের আকর্ষণ আধুনিক গান। প্রথমে থাকছে প্রসূন ব্যানার্জী ও স্বাগতা ব্যানার্জী। এবং শেষে জলি মুখার্জী।