গত ৯ মে সাঁইথিয়া রবীন্দ্র ভবনে সাঁইথিয়া ‘পাড়ি থিয়েটার এন্ড কালচারাল সোসাইটি’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল এক সন্ধ্যার নাট্য উৎসব। এদিনের নাট্যসন্ধ্যার উদবোধন পর্যায়ে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন বিজয়কুমার দাস, কল্লোল ভট্টাচার্য, মলয় ঘোষ, নির্মল হাজরা, লেটোশিল্পী হরকুমার গুপ্ত প্রমুখ। দলের পক্ষে সোহিনী কর্মকার জানালেন, নতুন নাট্যদলের আয়োজনে প্রথম নাট্যসন্ধ্যা। আগামীতে বড় আকারে উৎসব করার পরিকল্পনা আছে। সাঁইথিয়া পুরসভার পুরপিতা বিপ্লব দত্ত উপস্থিত হয়ে উৎসবের সাফল্য কামনা করে বক্তব্য রাখেন।
এদিন প্রথম পর্যায়ে পাড়ি সম্মাননায় ভূষিত করা হয় হরকুমার গুপ্ত, কল্লোল ভট্টাচার্য, বিজয়কুমার দাস, মলয় ঘোষ ও নির্মল হাজরাকে। ‘পাড়ি লোকশিল্পী’ সম্মাননা দেওয়া হয় লেটোশিল্পী শিবু দাসকে।
এই সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় দুটি নাটক। প্রথমে পরিবেশিত হয় নয়া রূপকথা পরিবেশিত ঊর্ণাবতী সেন রচিত “পার্শ্বচরিত্র” নাটক। পরে পরিবেশিত হয় পাড়ি থিয়েটার পরিবেশিত সোহিনী কর্মকার রচিত ও নির্দেশিত রবীন্দ্র কাহিনি অবলম্বনে “কঙ্কাল” নাটক।
অনুষ্ঠানের অন্য আকর্ষণ ছিল সিক্কণি ঠাকুরের গান ও পাড়ি নিবেদিত নৃত্যানুষ্ঠান।
উৎসব উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন সাজানো হয়েছিল সুন্দরভাবে। প্রদীপ প্রজ্বলন, শঙখধ্বনির মাধ্যমে অতিথিরা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত বলেন, পাড়ি থিয়েটার শহরের নাট্যচর্চায় নতুন সংযোজন হলেও উদ্যোগ আয়োজনে এগিয়ে।রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনের সন্ধ্যায় আয়োজিত এই নাট্যসন্ধ্যায় পুরপিতা তাঁর বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।নাট্যজন বিজয়কুমার দাস, জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির নাট্যচর্চার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ অভিনীত নাটক নিয়ে বক্তব্য রাখেন।নাট্য আকাদেমির সদস্য মলয় ঘোষ বলেন, পাড়ি থিয়েটার বীরভূমের থিয়েটার অঙ্গণের নতুন অতিথি হলেও থিয়েটারের ভাবনায় সোহিনী কর্মকার আশা জাগিয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে লেটোসম্রাট হরকুমার গুপ্ত ও লেটোশিল্পী শিবু দাসের লেটোগান দর্শকদের মন ভরিয়েছে।