Tuesday, November 19, 2024
Tuesday, November 19, 2024
Homeআলোচনা৫৫ পেরিয়ে ৫ দিনে নিজস্ব পঞ্চ ব্যাঞ্জনে বহরমপুর ছান্দিক

৫৫ পেরিয়ে ৫ দিনে নিজস্ব পঞ্চ ব্যাঞ্জনে বহরমপুর ছান্দিক

দুলাল চক্রবর্ত্তী

সম্প্রতি ৫ দিন ধরে, নিজস্ব সাংস্কৃতিক চর্চা উপাচার বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে পরিবেশন করে, বহরমপুর ছান্দিক সংস্থা নিজেদের ফেলে আসা সময়ের পথ চলাকে স্মরণ করলো। উৎসবের উদ্বোধন করেছিলেন নাট্যকার উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। সাথে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক্তার  নাটককার বহরমপুরের ছেলে দেবাঞ্জন সেনগুপ্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত কবি সমীন্দ্র ভৌমিক। সংস্থার প্রবীণ নাট্যজন বিজয় দত্ত ও সংস্থার সভাপতি অলোক বিশ্বাস এবং অতিথিরা সকলেই সম্মিলিত ভাবে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেছিলেন। সঞ্চালক চন্দন মজুমদারের ঘরোয়া আলাপনে এই পর্বটি বিশেষ তথ্য বহুল এবং আন্তরিক হয়ে উঠেছিল। সকলেই এই সময়ের দিকে চোখ চেয়েই নাটক মানুষ ও জীবন সম্পর্কিত নানা মুল্যবান কথা ব্যক্ত করেছিলেন।  

এই উৎসবে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পূর্ণাঙ্গ নাটক মনশ্চক্ষু, দুটি একাংক নভেন্দু সেনের নয়ন কবিরের পালা ও উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের ছোট নাটক অতি-রিক্ত এবং ড: দেবাঞ্জন সেনগুপ্তের লেখা একটি টক শো নাটক গুলগুলাইয়া চারদিন অভিনীত হয়েছিল। এর সাথে ছিল বিজয় দত্ত এবং চন্দন মজুমদার ও অনুপ চক্রবর্তীর কন্ঠে পরিবেশিত নিজেদের বিগত কিছু নাটকের নির্বাচিত গান। এর মধ্যেই ছিল শক্তিনাথ ভট্টাচার্য সংকলিত, শুভাঞ্জন সেনগুপ্ত চালিত বিস্মৃত নায়ক নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসু শীর্ষক একটি গীতি আলেখ্য। সংস্থার এক ঝাঁক কণ্ঠ শিল্পী এতে অংশ নিয়েছিলেন। কন্ঠসঙ্গীতে ছিলেন পাপিয়া বসাক, শম্পা সরকার, মৌমিতা সরকার ও সুস্মিতা সেনগুপ্ত। ভাষ্য পাঠে ছিলেন শাশ্বতী দত্ত, দেবযানী দত্ত, জাতবেদা দাস গোস্বামী  ও মিমিতা পাল। সুভাষ বসুর উপর এটি শ্রদ্ধাবোধে এবং জাতীয়তাবাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ আলোক পাত হিসাবেই পরিবেশিত হয়েছিল।

এছাড়া ছিল হরেক রকম কবিতা আবৃত্তির আসর। মাঙ্গলিক, একক, ভাব নৃত্য নাট্য, কাব্য আলেখ্য ইত্যাদিতে সারা সন্ধ্যা জুড়ে ছান্দিক আবৃত্তি অনুশীলন কেন্দ্র ও নন্দন সিংহের তত্ত্বাবধানে  কাব্য কবিতায় ভেসে গেছিল প্রেক্ষাগৃহের পরিবেশ। সংস্থার অলোক বিশ্বাস ও তপদীপ মন্ডল ও বনশ্রী মহারাণার চালনায় পরিবেশিত নানা স্বাদের কবিতায় সংযুক্ত অজস্র কন্ঠ বৈচিত্র ভিন্নতা পেয়েছিল। একক কন্ঠে উজ্জ্বল ছিলেন বকুল মন্ডল, তপদীপ মন্ডল, বনশ্রী মহারাণা, অলোক বিশ্বাস প্রমুখেরা। অধিকাংশ আলেখ্যের রচয়িতা সঙ্কলক অলোক বুশ্বাস। তার চয়নেই সৃষ্ট কবি জসীমউদ্দিনের কবর ভাব নৃত্য নাট্যে ঋতুপর্ণা দাশগুপ্ত ও শ্রীপর্ণা দাশগুপ্তের দাদু নাতির অভিনয় সকলের ভাল লেগেছিল। একই সাথে দাওনা খোকন নতুন জীবন, বালি বধে বালি, ইষ্টিশনের তরজা গান, ভুত পেত্নীর গল্প প্রভৃতি কবিতা আলেখ্য এবং অনুষ্ঠিতব্য দিনের সূচনার মাঙ্গলিক কবিতা কথায় অলোক বিশ্বাস, তপদীপ মন্ডল, বকুল মন্ডল, বনশ্রী মহারাণাদের সাথে আবৃত্তিতে অংশ নিয়েছিলেন স্মৃতি ভট্টাচার্য, শর্মিলা সিনহা, চামেলী দাস, শুভাঞ্জন পান্ডে, শুভায়ন পান্ডে, শুভশ্রী পান্ডে, অংশু সিংহ, প্রত্যুশা দত্ত, অনুশ পাল, দীপলীকা বর, অঙ্কিতা মন্ডল, অস্মিতা পাল, অলিপা চৌধুরী, অহনজীৎ ঘোষ, অমৃতাংশু শেখর দত্ত, অনবদ্য সাহা, সৌমজিৎ কর, ময়ুখ সাহা, অনন্য সাহা, ঋজুতা দাস, অধিরাজ হালদার, বেদদ্যুতি সাহু, আদ্রিকা দাস, রাতুল চৌধুরী, নৌরিন রসুল, রিনিতা আঢ্য, রাতুল মুখার্জী, প্রমুখেরা ছন্দিক কলেবরের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছিল। অসিত সমাদ্দারের হাতে গড়ে এই অনুশীলন চর্চায় কবিতা নাটকে আসার প্রথম ধাপ বলেই বিবেচিত ছিল। আজো তা চলছে। এছাড়াও স্মৃতি কথার আলাপন ইত্যাদি  প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরিবেশিত হয়েছিল।

ছান্দিক সংস্থার এই তৎপরতায় গর্বের বিষয়  প্রতিটি নাট্য নির্মাণে ও সামগ্রিক পরিকল্পনায় ছিলেন সংস্থার প্রয়াত নির্দেশক এবং অন্যতম প্রাণ পুরুষ কিশলয় সেনগুপ্তের ছেলে শুভাঞ্জন সেনগুপ্ত স্বয়ং। এখন তিনিই হাল ধরেছেন। আবার মঞ্চস্থ গুলগুলাইয়া টক শো নাটকের রচয়িতা, হলেন পেশায় একজন চিকিৎসক দেবাঞ্জন সেনগুপ্ত, তিনও এই একই পরিবারের নাট্য সংস্কৃতির মধ্যেই, ছান্দিকের শিল্পী কুলের সাথেই বেড়ে উঠেছিলেন। সম্পর্কে তিনি কিশলয় সেনগুপ্তের ভাইয়ের ছেলে। কাজেই নাটকের সাথে পরিবারের যদি সবাই মিলেমিশে, শিল্প শিল্পীর রক্তে ঘামে মিশ্রিত ছন্দে বেড়ে ওঠে, তবেই সেই দলের কাজে পরের প্রজন্ম নিশ্চিতই  যোগ্যতম হতে পারে। তাতে পাড়া পড়শী অনুজ আত্মজদের নাট্য আগ্রহ নিশ্চয়ই গড়ে উঠবে। অন্তত ছান্দিকের এই চলায় তা প্রমাণিত হয়ে গেল।

তাই বাইরের নাট্যদলকে ডেকে এনে উৎসব মঞ্চ দান করে নি। আপ্যায়নে ছোটাছুটি করতেও হয় নি। কারণ সংস্থার শিল্পীরা দলের সামর্থ্যের নিজেদের ঘরের খুদ কুড়ো সাংস্কৃতিক নির্মাণ যা কিছু আছে, তা দিয়েই উৎসবের নৈবেদ্য সাজিয়েছে। তাই গান কবিতা নাটক আর দর্শকদের বসিয়ে দলের স্মৃতি কথা শোনাবার উদ্যোগ খুবই দামী হয়ে যায়। সবই দলের নিজস্ব চর্চা ফসল। এমনটা বড় একটা দেখা যায় না। সীমিত হিম্মত সব দলের মতই, তথাপি সময়ের জোয়ার ভাঁটায় আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক টানাপোড়েনে ইচ্ছে হয়েছে বলেই, শক্তি এসেছে। নিজেরাই করে দেখাবার এ-ই ৫ দিনের পঞ্চ ব্যাঞ্জন নির্মাণের সিদ্ধান্ত তাই মফস্বলি নাট্য ইতিহাসে চরম সামর্থ্যের নমুনা। অতীতেও এমনই নাটক সহ সাংস্কৃতিক উৎসব ৮ দিন ধরে হয়েছিল। কাজেই বলতেই হয়…নাটকে বহরমপুর আছে বহরমপুরেই।

সব নাটকেরই নির্ধারিত মান ছিল। উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের লেখা অতি-রিক্ত নাটকের নির্দেশক শুভাঞ্জন সেনগুপ্ত। এটি তাঁর প্রথম নাট্য চালনা। এক গভীর দর্শনের ভর কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে মানুষ এবং তার মানসিক চাহিদার কেন্দ্রে চলমান বাস্তবতাকে চরমতম বিপত্তির মধ্যে রেখেই এই নাটক চাহিদাকে তির্যক নজরে দেখেছে। এই দেখার ভঙ্গীমাতেই এই নাটকে এনেছেন হাস্যরসের এক আখ্যান। মজাদার মশলায় এবং উপভোগ্য নাটকীয়তায়, আর কিছু অনবদ্য সংলাপে আলাপে মূল বক্তব্য ছিল ভোগাবাদ আশ্রিত মানুষদের জন্যে। আসলে মানুষ কি চায়? বেশি.. আরো বেশি। এ এক চাহিদা চক্র। তাই যেভাবেই হোক পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনায় লাভবান হতে সবাই চায়। একটা কিনলে যদি আরেকটা ফ্রী’তে পাওয়া যায়, সেখানেই মানুষের বিচার বিবেচনা তলানিতে চলে যাচ্ছে। এখানে মানুষের ঘাড়ের উপর মাথা নেই। ঘিলুও শুকিয়ে গেছে। বুকের হৃদপিণ্ডে হয়ে যাচ্ছে তালগোল। এই মর্মেই নাটকের গল্প বাস্তবতার বাইরে চলে গেছে। কেননা গল্পে এসেছে ভবদুলাল কচির জীবনে একটা জিনিস কিনলে আরেকটি ফ্রীতে পাওয়া যায় মনস্কতায় বিয়ে করে বউয়ের সাথে আরেকটা বউ ফ্রী পেয়ে কচি আর ভবদুলাল পরিণতি ক্রমে এক চরম বাজার ব্যবস্থার টানাপোড়েনে এসে পড়ে। কাকা আর ভালোপিসির সংসারে নামে বিচিত্র বিভ্রান্তি। যমুনাকে কচি বিয়ে করতে চেয়েও পারেনি। ছান্দিকের এই ফ্যান্টাসি নাটকের চালনা ভাবনায় শুভাঞ্জন সেনগুপ্ত ভাবনা সাবলীল ছিল। কচি’র ভুমিকায় সৌমিত্র দত্ত নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। তুলনায় ভবদুলাল চরিত্রে বিশ্বনাথ কর্মকার কম মজার বিষয়। ভালোপিসি চরিত্রে সুস্মিতা সেনগুপ্ত এবং কাকাবাবু চরিত্রে দীপক বন্দোপাধ্যায় খুব ভাল দুটি চরিত্র। গঙ্গা চরিত্রে জাতবেদা দাস ও যমুনার ভূমিকায় দেবযানী দত্তের অভিনয় মানিয়ে যায়। চমকে দেন বস চরিত্রে বিশ্বনাথ রায়ের স্মার্ট ও সাবলীল উপস্তিতি। অন্যান্য ভূমিকায় ম্যানেজার /দেবব্রত সাহা, সেলসম্যান ১ও ২ যথাক্রমে বিধান সরকার এবং অচিন্ত্য সাহা মন্দ নন।

নাটক গুলগুলাইয়া মজা এবং হাস্যরসে ভরপুর ছিল। দেবাঞ্জন সেনগুপ্তের লেখা এবং শুভাঞ্জন সেনগুপ্তের প্রয়োগে মঞ্চে জ্যান্ত হয়ে উঠে এসছিল, ডমরু ধরের সাথে ঘনাদা, ঘনাদার সাথে টেনিদা। গুলগুলাইয়া নামের টক শো’তে এদের আমন্ত্রণ জানিয়ে যখন কাল্পনিক শুটিং চলছিল। তার মধ্যেই বাদ পড়ে যাওয়া ব্রজরাজ কারফর্মা এসে হামলা দেয়। চলে সাহিত্যের পাতা থেকে উঠে আসা চরিত্রগুলির গুলবাজ গাল-গল্প। এতেই একটা ভিন্ন স্বাদের নাটক গড়ে উঠে আনন্দিত করে যায়। তনয়া/শাশ্বতী দত্ত, দেব/বিশ্বনাথ রায়, শম্পা/শম্পা সরকার, পাপ্পু/ বিশ্বনাথ কর্মকার, টেনিদা/সৌমিত্র দত্ত, ঘনাদা/অনুপ চক্রবর্তী, ডমরু ধর/দীপক বন্দোপাধ্যায়, ব্রজরাজ কার্ফরমা/অলোক বিশ্বাস, প্যালারাম/দেবব্রত সাহা, শিশির/সুজিত ঘোষ, ক্যামেরাম্যান/সুমিত ঘোষাল ও বিশ্বনাথ কর্মকার, স্টুডিও টেকনিশিয়ান/নয়ন রায় এবং স্টুডিও বয়/গৌরাঙ্গ দাস প্রমুখেরা নিজেদের এনার্জি লেবেলের চূড়ান্তেই চরিত্রগুলোকে তুলে ধরেছিলেন।

উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের মনশ্চক্ষু নাটকে ছন্দিকের গভীর নাট্য চিন্তার প্রকাশ ঘটলো। পৃথিবী জুড়ে চলা হিংসার কুপ্রভাব মানুষের অস্তিত্ব ধরে কীভাবে টান মারছে। এই কোর্ট নাটকে তার খোঁজ চলেছে, মনুষ্যত্ব ফিরিয়ে এনে এই পৃথিবীকে বাস যোগ্য করার উদ্দ্যশ্যে। কাউকেই অঘটন ঘটাতে দেখে সমগ্রের মনশ্চক্ষু জাগিয়ে তোলার নাটক এট। মধ্যমমানের একটি প্রচেষ্টা।  নাটকের আবহ এবং প্রয়োগ শুভাঞ্জন সেনগুপ্ত। বিভিন্ন ভূমিকায় ছিলেন, সুদর্শনা-সিমিতা পাল, রোমা-দেবযানী দত্ত, অভয়পদ হালদার-দীপক বন্দোপাধ্যায়, ডাঃ হরেন শাসমল-শুভাঞ্জন সেনগুপ্ত, বন্দনা-জাতবেদা দাস গোস্বামী, প্রতীক-সৌমিত্র দত্ত, বিচারক-অলোক বিশ্বাস, পাবলিক প্রসিকিউটর-শাশ্বতী দত্ত, মনোরমা-শম্পা সরকার, বেচু-নয়ন লাহিড়ী ও সায়ন-ঋদ্ধিমান দত্ত। অভিনয় নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। তবুও নাটকের ঘনত্বকে আরো দ্বান্দ্বিকতায় নিয়ে গেলে উত্তেজনা বাড়তে পারে। ছান্দিকের বহুদিনের বিখ্যাত মঞ্চস্থ নাটক নয়ন কবিরের পালা। নভেন্দু সেনের এই নাটক কিশলয় সেনগুপ্তের নির্দেশনায় অতীতে প্রশংসিত হয়েছিল। সৌমিত্র দত্তের নয়ন ও বিশ্বনাথ রায়ের কবির, এই দুই চরিত্রের কথোপকথন ঘিরেই জমে উঠেছিল এক সন্ধ্যার দ্বিতীয়ার্ধ। প্রতিটি নাটকে আলোতে ছিল শ্যামা প্রসাদ বন্দোপাধ্যায়ের নাট্য অভিজ্ঞতা। একই ভাবে মেক আপে আনন্দ চক্রবর্তী ছিলেন। বলতে আনন্দ হচ্ছে ছান্দিকের গুণী নাট্যজন, সৌমিত্র দত্ত যেমন চারটি নাটকের সু-অভিনেতা, তেমনিভাবেই তিনিই সব কটি নাটকের মঞ্চ ও পোশাক নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেছেন। এই আয়োজনে, ছান্দিক সংস্থা, নিজেদের শক্তি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বারবার দলের প্রয়াত কীর্তি-ধর, শক্তিনাথ ভট্টাচার্য, অমলকান্তি মৈত্র(কালু), গৌতম বোস ও জয়দেব দাস(গোপাল) প্রমুখদের স্মরণ করেছে। তাই সব দিক দিয়েই ছান্দিকের এই উৎসব আমাদের ঋদ্ধ করেছে। নিজেদের বিবিধ প্রোডাকশনের সামগ্রিক চাপ সামলে, ৫ দিন ধরে চমকপ্রদ সাংস্কৃতিক উপস্থাপনার জোগান দিয়ে যেতে পারার কৃতিত্বে তা-ই এই প্রতিবেদন যে কোন দলেরই অনুপ্রেরণা হবে। বাংলা নাটকের মর্যাদা প্রসঙ্গে ছান্দিক একটি যোগ্য সংস্থা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular