নিজস্ব প্রতিনিধি
সম্প্রতি এক ছোট্ট পরিসর আন্তরিকতার অভাব বিহীন একটা সুন্দর পরিবেশে ইচ্ছেডানার আয়োজনে মাচার মানুষের নিজস্ব পরিসরে পরিবেশিত হল এক অতীব সুন্দর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।
অনুষ্ঠান সাজাতে সাহায্য করেছেন মাচার মানুষ -এর আগামীদিনের সৈনিকরা আর কল্পন তিলজলা-র প্রধানা কল্পনা বড়ুয়া।
এই অনুষ্ঠানে যাকে বিশেষ পাওনা তা হল সুচরিতা বড়ুয়া চট্টোপাধ্যায় ও সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের মা শোভা চট্টোপাধ্যায়কে। যিনি বয়সকে উপেক্ষা করে দুটি রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। যা দর্শকদের খুব ভালো লেগেছে।
এরপর একে একে নানান অনুষ্ঠান পরিবেশিত হল। হ্যাঁ কেউ কবিতায় কেউ গানে নাচে মাতিয়ে দিলেন অনুষ্ঠান সন্ধ্যা। একেবারে নির্ভেজাল আড্ডার আঙ্গিকে অনুষ্ঠান খিব ঘরোয়া আন্তরিক হয়ে উঠেছিল। অনুষ্ঠানে সুচরিতা চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতি বারতি মাত্রা যোগ করেছে।
শ্রেয়সীর গান ও সুন্দর গায়কি আর নীলব্রতর কবিতার অনুষ্ঠান বেশ মনোগ্রাহী।
আর সবার অলক্ষে ছিল নাট্য জগতের অরুন তুর্কি টাপুর অর্থাৎ সোহম চট্টোপাধায়। সবাইকে চমকে দিয়ে রেলগাড়ির কামড়ায় হঠাৎ দেখা কবিতার এক সুষ্ঠ সুন্দর নাট্যরুপ এবং তাঁর যথাযথ প্রয়োগে মাচার মানুষের আগামীদের কুশীলবদের এক অসাধারণ উপস্থাপনা। সাথে ছিলো বুবাই -এর আবহ.। এই সব নানা অনুষ্ঠানে সেদিন ভরে উঠেছিল মাচার মানুষের নব নির্মিত টাপুরবাসা। অল্প পরিসরে এক মায়াময় মঞ্চঘর।
এছাড়া শান্তনু ভট্টাচার্যের কবিতা পাঠাভিনয়। কৃষ্ণ আর ছন্দু। কল্পনা বড়ুয়ার সুযোগ্য দুই আগামী নাট্য সৈনিক কবিতা বলে শোনালেন। পিয়ালি দুটো রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনালেন।
ইচ্ছেডানার আয়োজনে সেদিন এসেছিলেন শ্রাবনী রুমা সেনগুপ্ত। ইচ্ছেডানার আয়োজনে এ এ দিনের আর এক প্রাপ্তি. সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ও সুচরিতা বড়ুয়া চট্টোপাধ্যায়ের রক্তকরবি নাটকের মনোমুগ্ধকর নাট্যাংশ পাঠ।
নৃত্য পরিবেশন করেছেন কল্পনা বড়ুয়া। এরপর ইচ্ছেডানার প্রযোজনায় জবা শর্মার লেখায় ও নির্দেশনায় নাটক শহুরে বহুরুপী-র একক অভিনয়। যা দর্শকের মন ছুঁয়ে গেছে।