মোহিত টাকালকার নির্দেশিত ‘হুংকারো’ সম্প্রতি মাহিন্দ্রা এক্সিলেন্স ইন থিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস/Mahindra Excellence in Theatre Awards (META)-এ টিমওয়ার্ক (Teamwork Arts) আর্টস দ্বারা কিউরেট করা সাতটি পুরস্কার জিতেছে।
‘হুঙ্কারো’, মারোয়ারি, হিন্দি, আওয়াধি এবং হরিয়ানভি ভাষায় নিবেদিত এই প্রযোজনা, যার পরিচালক, স্টেজ ডিজাইন, লাইট ডিজাইন, কস্টিউম ডিজাইন, প্রোডাকশন, এনসেম্বল এবং অরিজিনাল স্ক্রিপ্ট সহ সকল বিষয়ে সেরা সম্মানের শিরোপা পেয়েছে।
পরিচালক টাকালকার মনে করেন, এই পুরস্কার তাঁদের অভিনেতাদের আরও উৎসাহিত করবে। তাঁর কথায়, কোনও প্রডাকশন নির্ভর করে সেই ভাষার সৌন্দর্যের ওপর, সেই ভাষার বলিষ্ঠতার ওপর। সামগ্রিক ভাবে সি প্রযোজনায় নান্দনিকতা থাকাটা খুব জরুরী। টাকালকার মনে করেন, সংলাপের উচ্চারিত শব্দের গুরত্বকে ও তা দর্শকদের শ্রবণেন্দ্রিয়ে পৌঁছনোই অভিনেতার আসল কাজ। এবং সেখানেই তা সামগ্রিক শিল্পে পরিণত হয়।
এই নাটকের প্রয়োগ ‘সাইকোফিজিক্যাল অ্যাক্টিং’-কে বজায় রেখে পারফরম্যান্সের মূল অংশে, অভিনেতাদের মন এবং শরীরের সার্থক মিলনের সাথে আলাপের জন্য চ্যালেঞ্জড হয়, অভিনেতারা কখনও কখনও স্বর এবং দেহের মাধ্যমে নিজেকে অভিব্যক্তি বা মানসিক স্থিতি প্রকাশ করে এবং কখনও কখনও একটি অপ্রীতিকর স্বরে তা উপস্থাপন কএ। যা দর্শককে ইন্টার্যাকশন করতে বাধ্য করে। আর এখানেই এই নাতকে সার্থকতা।
এই নাটক নির্মাণে তাঁদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। বর্তমান সময়ের নিরিখে দাঁড়িয়ে নানাবিধ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে তাঁরা দিনের পর দিন মহলা চালিয়ে গেছেন আর বর্তমান সময়কে তাঁদের ভাষা নান্দনিকতার বেঁধে ফেলেছেন, এবং তারপরেই ‘হুঙ্কারো’ সত্যি করে গর্জে উঠেছে। আজ ভারতীয় থিয়েটারের এই সত্য কথনে আমরা সবাক হতে পারছি না। সামগ্রিক চর্চায় একটা বন্ধ্যাত্ব রয়েই যাচ্ছে আর এখানেই সার্থক ‘হুঙ্কারো’।
টাকালকার বলেন “দলে যখন আমরা এই নাটক শুরু করেছিলাম, তখন আমরা ভাবিনি যে আমাদের হাতে এরকম একটি নাটক আছে, আমাদের মনে শুধু একটি অন্বেষণ ছিল আমরা খুঁজে চলেছি। এবং সেই খোঁজ সম্ভব হয়েছে বিজয়দান, চিরাগ খান্ডেওয়াল, অরভিন্দ চরন এনাদের গল্পের ওপর ভিত্তি করেই।“
এই অভিজ্ঞতা তাদের গোটা টীমকে সমৃদ্ধ করেছে। পরিচালক টাকালকার, যিনি চার্লস ওয়ালেস বৃত্তি পেয়েছিলেন এবং ফিলিপ জারিলের নির্দেশনায় 2010 সালে ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটার (ইউকে) থেকে থিয়েটার অনুশীলনে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে সাহায্য করেছিল।
টাকালকার আরও বলেন- ‘আমি যা অনুভব করেছি তা আমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমি প্রচুর নাচ ইত্যাদি দেখেছি এবং সঙ্গীত কনসার্টে অংশ নিয়েছি যা আমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে এবং আমার অনুশীলন সঠিক পথে পরিচালিত হয়েছে।”
টাকালকার ২০০৩ সালে অসক্ত কালামঞ্চের সহ-প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং মারাঠি, হিন্দি, উর্দু, কন্নড়, মারোয়ারি এবং ইংরেজি ভাষায় ৩০টিরও বেশি পরীক্ষামূলক নাটক পরিচালনা করেছেন৷