নিজস্ব প্রতিনিধি
পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমীর আর্থিক সহায়তায়, ৭ ও ৮ মে ২০২৫, তৃপ্তি মিত্র সভাগৃহে, ফুলের আলপনায় প্রদীপ বসিয়ে মঙ্গল দীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে শুভারম্ভ হল সমযাত্রিক-এর দ্বি-দিবসিয় পঞ্চম নাট্যোৎসবের। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক রাজা সেন আমন্ত্রিত থাকলেও, বিশেষ ব্যস্ততার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আর্শ থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্ম প্রোডাকশনের কর্ণধার প্রভাত সারোন। প্রথমেই সমযাত্রিক-এর পক্ষ থেকে সারোনকে বরণ করে নেওয়া হয়। ছোট্ট বক্তব্যের মাধ্যমে সারোনবাবু সমযাত্রিক-এর সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন যে প্রকৃত গুণী শিল্পীদের উন্নতি কল্পে তিনি সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন।
দুদিনের নাট্য উৎসবে ছিল ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের চমৎকার সাতটি নাটক প্রথম দিনের প্রথম নাটক ছিল গঙ্গারিডি পাপেট থিয়েটার পরিবেশিত এবং প্রদীপ সরদার পরিচালিত পুতুল নাটক, “নতুন জীবন”।
দ্বিতীয় দিনের নাটক ছিল, থিয়েটার ওয়ার্কার্স রেপার্টারি পরিবেশিত এবং সৌরভ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত নাটক “UC-10″।
তৃতীয় দিনের নাটক ছিল, বেহালা অনুদর্শী পরিবেশিত এবং সুমনা চক্রবর্তী পরিচালিত ও অভিনীত নাটক, “বিভাজিতা”।
চতুর্থ দিন অর্থাৎ শেষ নাটক ছিল উদ্যোক্তা সংস্থা অর্থাৎ সমযাত্রিক পরিবেশিত এবং পদ্মা সরকার রচিত ও পরিচালিত নাটক, “মালতি-বিহান কথা”।
উৎসবের দ্বিতীয় তথা শেষ দিনের প্রথম নাটক ছিল, বাঁকুড়া শিল্পী সংসদ পরিবেশিত ও জয় মুখোপাধ্যায় রচিত ও পরিচালিত নাটক, “স্বজন সুজন”।
দ্বিতীয় নাটক ছিল সমযাত্রিক পরিবেশিত এবং পদ্মা সরকার রচিত ও পরিচালিত নাটক, “এবার ভোর”।
তৃতীয় ও শেষ নাটক ছিল কাদারাট গৌড়শিখা রেপার্টারি পরিবেশিত ও অভিজিৎ নস্কর পরিচালিত নাটক, “দেব পুকুরের গপ্পো”।
দুদিনেই প্রতিটি নাটকের শেষে পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহের সমস্ত দর্শকের করতালিতে শিল্পীরা এবং উপস্থিত সকলে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠেন। উৎসবে যোগদানকারী দলগুলো উদ্যোক্তা দল সমযাত্রিক-এর সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা ও আয়োজনে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সমযাত্রিক-এর যাত্রা সুদীর্ঘ হোক এই কামনা করে এবারে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।