আজ ৪ ফেব্রুয়ারি, রোববার বাংলাদেশ শিল্পকলার জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটারে ‘খনা’ নাটকের বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাটকটি লিখেছেন সামিনা লুৎফা নিত্রা। নির্দেশনা দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী হায়দার। বটতলার তৃতীয় প্রযোজনা এটি।
সিংহলের রাজকন্যা খনা, যাঁর আরেক নাম লীলাবতী। তিনি জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী নারী। খনার সেই উপকথাকে নাট্যরূপ দিয়ে নাট্যদল ‘বটতলা’ প্রথমবার ‘খনা’কে মঞ্চে আনে ২০১০ সালের ৯ মার্চে। বহুদিন ধরে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে এ নাট্যদল মঞ্চস্থ করে আসছে নাটক ‘খনা’।
সম্প্রতি নাটকটি ২৩তম ‘ভারত রঙ্গ মহোৎসব ২০২৪’-এ নির্বাচিত নাটক হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছে। ‘ভারত রঙ্গ মহোৎসব’-এ বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী নাট্যগুলির মোট ৫টি নাটক নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘ভাষার সঙ্গ নাট্যরঙ্গ বাংলাদেশ উৎসব’। চলবে ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সেই উৎসবেই আজ, রবিবার বটতলার ‘খনা’ নাটকটিকে মঞ্চস্থ করা হবে।
ইতিমধ্যে কাহিনি ও নাট্য আঙ্গিকের জন্য বেশ দর্শকপ্রিয়তাও অর্জন করেছে ‘খনা’ নাটকটি। ভারতের রাষ্ট্রীয় নাট্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা আয়োজিত ‘ভারত রঙ্গ মহোৎসবে’র ২৩তম আসরে বটতলা আমন্ত্রিত হয়েছে ‘খনা’র মঞ্চায়নের জন্য। ফেব্রুয়ারিতে আয়োজিত সেই এশিয়ার বৃহত্তম এ নাট্য উৎসবে বটতলা ‘খনা’ নাটকটির দুটি মঞ্চায়ন হবে।
নাটকটিতে অভিনয় করবেন সামিনা লুৎফা নিত্রা, ইমরান খান, ইভান রিয়াজ, তৌফিক হাসান, শারমিন রহমান, শেউতি শাহগুফতা, পঙ্কজ মজুমদার, কামারুজ্জামান সাঈদ, হুমায়ূন আজম রেওয়াজ, রানা তিওয়ারি, হাফিজা আক্তার, আবদুল কাদের, মিজানুর রহমান, শাহনেওয়াজ ইফতি, রিশাদুর রহমান, লায়েকা বশীর, পলাশ নাথ, সানজিদা ইয়াসমীন, আশরাফুল অশ্রু, সানজানা ফারাহ প্রমুখ।
খনার জন্ম স্থান
খনা সম্পর্কে সত্য-মিথ্যায় বিজড়িত নানা কিংবদন্তি অনুসন্ধান করে জানা যাচ্ছে- ১৫০০ বছর আগে জন্ম নেওয়া ইতিহাসের এক আশ্চর্য নারী খনা বা ক্ষণা। শুভক্ষণে জন্ম হয়েছিল বলে তার নাম ক্ষণা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার দেউলি গ্রামে তাঁর জন্ম।
মোটামুটি ৮০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তাঁর আবির্ভাব ঘটেছিল বলে মনে করা হয়। খনার পিতার নাম অনাচার্য বা অটনাচার্য। চন্দ্রকেতুগড়ের ধ্বংসাবশেষে ‘খনা মিহিরের ঢিপি’ আজও তাঁর স্মৃতি বহন করছে। দেউলনগরের রাজা ধর্মকেতুর রাজ-জ্যোতিষী বরাহ-মিহির ছিলেন খনার শ্বশুর।
কিন্তু অনেকের মতে আবার খনার জন্ম শ্রীলঙ্কায়। প্রচলিত গল্প থেকে জানা যায় যে এক সময় রাক্ষস ময়দানব লঙ্কা দ্বীপের রাজা ছিলেন। খনা ছিলেন তাঁরই কন্যা।
খনার আসল নাম
আবার অনেকের মতে, খনার জ্বিভ কেটে দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকেই নাম হয়ে যায় খনা। খনা অর্থাৎ যাঁর খুঁত রয়েছে। শরীরে খুঁত ছিল বলেই খনা নাম। কেননা, খনার আসল নাম ছিল লীলাবতী।
এক সময় ময়দানবের শত্রুরা তাঁর বংশকে ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু খনা বা লীলাবতী তাঁর রূপ ও গুণের কারণে কোনও রকমে বেঁচে যায়। এরপর খনা ধীরে ধীরে জ্যোতিষ বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে ওঠে। কিন্তু ভাগ্যচক্রে সেই বিদ্যায় বিদুষী লীলাবতীর জন্য কাল হয়ে ওঠে। জ্বিভ কেটে ফেলার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে লীলাবতী হয়ে যান খনা।
খনার গল্প
ভারতের মালাবারের চুম্বী গ্রামের অধিবাসী এবং মহারাজ বিক্রমাদিত্যর রাসভায় সভা-পণ্ডিত জ্যোতির্বিদ বরাহের একটি ছেলে জন্মায়। বরাহ তার নাম রাখেন মিহির। বরাহ নিজে যেহেতু জ্যোতিষ সুতরাং ছেলের জন্ম হতেই তিনি তার কোষ্ঠী বিচার করলেন। এবং করেই আতকে উঠলেন। কারণ, বরাহ তাঁর ছেলের ভবিষ্যৎ গণনা করে বুঝলেন, মিহির এক বছরের বেশি বাঁচবে না। বাবা বলে কথা। ছেলের মৃত্যু চোখের সামনে দেখতে পারবেন না বলে তিনি আগে-ভাগেই বিদায়ের ব্যবস্থা করলেন।
একটি তামার পাত্রে শিশু মিহিরকে শুইয়ে দিয়ে বরাহ সমুদ্রে ভাসিয়ে দিলেন। সেই তামার পাত্র ভাসতে ভাসতে একসময় গিয়ে পৌঁছল লঙ্কাদ্বীপে। খনা বা লীলাবতী (গল্পে আমরা খনাকে লীলাবতী নামেই চিনব) তখন তাঁর সখীদের সঙ্গে নিয়ে সমুদ্রের জলে জলকেলি করছিলেন। তামার পাত্র ভাসতে দেখে স্বাভাবিকভাবেই লীলাবতী ও তাঁর সহচরীরা উৎসুক হয়ে কাছে গেলেন। দেখলেন তামার পাত্রে শুয়ে রয়েছে একটি জ্যান্ত শিশু। কেন একটি জ্যান্ত শিশুকে তামার পাত্রে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া হল – এই প্রশ্ন লীলাবতীর মনে উঠতেই তিনি মিহিরের আয়ু গণনা করে দেখলেন। এবং দেখে তিনিও চমকে উঠলেন। কারণ শিশু মিহিরের আয়ু তিনি দেখলেন ১০০ বছর!
এরপর শিশুটিকে লীলাবতী তাঁর এক পড়শি পরিবারের হাতে তুলে দিলেন। পড়শি পরিবার নিঃসন্তান হওয়ায় তারা মিহিরকে বুকে টেনে নিল। এরপর সময় তার মতো কাটতে লাগল। শিশু মিহির যুবক হলেন। তাঁকেও পড়শি পরিবারের লোকেরা জ্যোতিষ শেখালেন। এবং যথারীতি জ্যোতিষের ছেলে হওয়ায় মিহিরও জ্যোতিষবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠলেন।
লীলাবতী বুঝলেন, শত্রু রাক্ষসকূলে মিহিরই তাঁর যোগ্য পাত্র। রাক্ষসরাও সেটা স্বীকার করল। এবং লীলাবতী ও মিহিরের বিবাহ হল। দু’জনের নতুন সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু ভাগ্যের লিখন খন্ডাবে কে? মিহির নিজে জ্যোতিষবিদ্যায় পারদর্শী হওয়ায় নিজের জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করে দিলেন। তাতেই তিনি বুঝতে পারলেন, তাঁর জন্ম লঙ্কাদ্বীপে নয়। জন্মভূমি তাঁর অন্য কোথাও। সেই জন্মভূমিকে একবার অন্তত নিজের চোখে দেখার জন্য মিহির ছটফট করতে লাগলেন। এরপর লীলাবতীকে অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে জনা কয়েক লোক-লস্কর নিয়ে রওনা দিলেন নিজ জন্মভূমির দিকে। মানে মালাবারের চুম্বী গ্রামে।
সমুদ্র পার করে ওপারে পৌঁছতেই একটি গরুকে সবাই দেখতে পেল। গরুটি তখন একটি বাছুরের জন্ম দিতে চলেছে। দলে থাকা একটি ভৃত্য এমনি এমনিই মিহিরকে প্রশ্ন করল, ‘আচ্ছা বলুন তো, এই গরুটির যে বাছুরটি হবে সেটির রঙ কী হবে?’ মিহির মুচকি হেসে জানালেন, ‘বাছুরটি সাদা রঙের হবে।’ কিন্তু বাছুর প্রসব হতেই দেখা গেল সেটির রঙ কালো। এতে মিহির মনে মনে ভাবলেন, তাঁর শিক্ষায় কোথাও খামতি রয়েছে। স্বামীর দুঃখ দেখে লীলাবতী এগিয়ে এলেন। বললেন, ‘তোমার গণনায় কোনও ভুল হয়নি। বাছুরের রঙ সাদায় হবে।’ এবং গরুটি বাছুরটিকে চাটতেই সাদা রঙ বেরিয়ে এল।
এই ঘটনার পর যথারীতি মিহির তাঁর স্ত্রী লীলাবতীকে নিয়ে বরাহের কাছে পৌঁছলেন। এবং তিনি যে বরাহের ছেলে – সেটা জানালেন। কিন্তু বরাহ মানতে নারাজ। কেননা, তিনি তো নিজে গণনা করে দেখেছিলেন তাঁর ছেলে একবছরের বেশি বাঁচবে না। তাহলে ছেলে এত বড় হল কী করে? বিয়েই বা করল কিভাবে? শ্বশুরের এমন প্রশ্ন শুনে লীলাবতী আসরে নামলেন। বললেন,
কিসের তিথি কিসের বার?
জন্ম নক্ষত্র কর সার।
কি করো শ্বশুর মতিহীন
পলকে জীবন বারো দিন।
লীলাবতীর কথায় বরাহ চমকে গেলেন। বুঝলেন, তাঁর বৌমা কোনও সাদামাটা মেয়ে নয়। তিনি একজন বিদুষী। বরাহ নিজের ভুল বুঝতে পেরে ছেলে-বৌমাকে ঘরে তুললেন। ধীরে ধীরে রাজা বিক্রমাদিত্যের সভায় মিহিরেরও খ্যাতি বাড়তে লাগল। হতে পারে এতে বরাহেরও কিছু কলকাঠি থেকে থাকবে। মিহিরের সুনাম বাড়তেই রাজা বিক্রমাদিত্য জ্যোতিষ বাপ-ব্যাটাকে একটু বাজিয়ে দেখার ব্যবস্থা করলেন। বরাহকে প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা বল তো, এই আকাশে কত নক্ষত্র রয়েছে?’ রাজার কথা শুনে বরাহ পড়লেন মহা ফাঁপড়ে। তিনি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না – একথা বললে রাজ জ্যোতিষীর চাকরি তো যাবেই উলটে এতদিনের মান-সম্মান সব ধূলোয় লুটোবে। ছেলে মিহিরের ভবিষ্যতে রাজ জ্যোতিষী হওয়ার সম্ভাবনাটাও আজই শেষ হয়ে যাবে। এই অবস্থায় উপায়?
বরাহ ভাবলেন, বৌমাকে জিজ্ঞেস করলে কেমন হয়? এতে সবকূলই রক্ষা পাবে। বরাহ লীলাবতীকে ডেকে ঘুরিয়ে রাজা বিক্রমাদিত্যের প্রশ্নটা ছুড়ে দিলেন। বললেন, ‘বৌমা তুমি তো জ্যোতিষ বিদ্যা খানিকটা জানো। তা বলতো দেখি, আকাশে কত তারা রয়েছে?’ লীলাবতী বুঝলেন, এই প্রশ্ন জ্যোতিষবিদ্যা দিয়ে সমাধান হবে না। এতে বুদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। সুতরাং বুদ্ধি খাটিয়ে একটা জবাব দিতে যাতে রাজা বিক্রমাদিত্য সন্তুষ্ট হন। লীলাবতী একটু ভেবে জবাব দিলেন, ‘এই আকাশে মহারাজের মাথায় যা চুল রয়েছে তার থেকে লক্ষগুণ তারা রয়েছে।’
লীলাবতীর এমন উত্তর শুনে মহারাজ বিক্রমাদিত্য বুঝলেন, লীলাবতী শুধু জ্যোতিষ বিদ্যায় পারদর্শীই নন, অত্যন্ত বুদ্ধিমতীও বটে। এবং বরাহর থেকেও রাজ জ্যোতিষীর জন্য বেশি যোগ্য। রাজার মনের কথা বরাহও বুঝলেন। বুঝলেন মিহিরও। এবং যথারীতি ঘরে এসে শুরু হয়ে গেল এনিয়ে ঝামেলা। ঝামেলা মানে, স্বামী-শ্বশুরকে টক্কর দিয়ে লীলাবতী এটা কী করে ফেলল? দুই গুরুজনেরই নাক কেটে ফেলল। মান-সম্মান গেল। এবং মিহিরের ভবিষ্যতের সর্বনাশটা হল। মেয়ে হয়ে কি এটা ঠিক হল?
লীলাবতীও বুঝলেন, মহারাজের প্রশ্নর জবাব দিতে গিয়ে তিনি অন্য ফাঁদে পড়ে গিয়েছেন। এরপরের গল্প নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। কোথাও কোথাও বলা হয়েছে এই ঘটনার পর বরাহ ও মিহির মিলে না কি লীলাবতীর জ্বিভ কেটে নেয়। যাতে আর কোনও দিন তিনি কথা না বলতে পারেন। আবার অনেকের দাবি, লীলাবতী ভুল বুঝতে পেরে নিজেই নিজের জ্বিভ কেটে ফেলেন। আবার অনেকে এটাও বলেন, রাজসভায় মেয়ে হয়ে যাতে চাকরি না করতে হয় সেই কারণে স্বামী, শ্বশুর ও বৌমা মিলেই না কি জ্বিভ কাটার কান্ডটা ঘটানো হয়েছিল।
কিন্তু ঘটনা যাই হোক না কেন, লীলাবতীর যেহেতু জ্বিভ কাটা হল সেই থেকে এলাকার লোকে খনা বলে ডাকতে শুরু করল। এবং সেটাই লোকমুখে জনে জনে ছড়িয়ে পড়ল।
যদিও এই কাহিনীর মধ্যে আধুনিক সমালোচকেরা নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের যে নিষ্ঠুরতা, দমিয়ে রাখার চেষ্টা এবং নারী নির্যাতনের অ্যাঙ্গেল খুঁজে পান। ইদানিং কালে এই ভাবনাটাই অনেকের যথাযথ মনে হচ্ছে। এবং তারই একটা ভাবনা যেন বাংলাদেশের ‘বটতলা’র ‘খনা’ নাটকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
খনার বচন
সকাল শোয় সকাল ওঠে
তার কড়ি না বৈদ্য লুটে
*********************
আলো হাওয়া বেঁধো না
রোগে ভোগে মরো না।
*********************
যে চাষা খায় পেট ভরে
গরুর পানে চায় না ফিরে
গরু না পায় ঘাস পানি
ফলন নাই তার হয়রানি
**********************
খনা ডেকে বলে যান
রোদে ধান ছায়ায় পান
**********************
গাছগাছালি ঘন সবে না
গাছ হবে তার ফল হবে না
**********************
হাত বিশ করি ফাঁক
আম কাঁঠাল পুঁতে রাখ
**********************
বিশ হাত করি ফাঁক,
আম কাঁঠাল পুঁতে রাখ।
গাছ গাছি ঘন রোবে না,
ফল তাতে ফলবে না।
**********************
যদি না হয় আগনে বৃষ্টি
তবে না হয় কাঁঠালের সৃষ্টি
**********************
যদি না হয় আগনে পানি,
কাঁঠাল হয় টানাটানি।
**********************
যত জ্বালে ব্যঞ্জন মিষ্ট
তত জ্বালে ভাত নষ্ট
**********************
যে না শোনে খনার বচন
সংসারে তার চির পচন৷
**********************
শোনরে বাপু চাষার পো
সুপারী বাগে মান্দার রো৷
মান্দার পাতা পচলে গোড়ায়
ফড়ফড়াইয়া ফল বাড়ায়৷
**********************
মঙ্গলে ঊষা বুধে পা
যথা ইচ্ছা তথা যা।
**********************
চাষী আর চষা মাটি
এ দু’য়ে হয় দেশ খাঁটি।
**********************
গাছে গাছে আগুন জ্বলে
বৃষ্টি হবে খনায় বলে।
**********************
জ্যৈষ্ঠে খরা, আষাঢ়ে ভরা
শস্যের ভার সহে না ধরা।
**********************
আষাঢ় মাসে বান্ধে আইল
তবে খায় বহু শাইল।
**********************
আষাঢ়ে পনের শ্রাবণে পুরো
ধান লাগাও যত পারো।
**********************
তিন শাওনে পান
এক আশ্বিনে ধান।
**********************
পটল বুনলে ফাগুনে
ফলন বাড়ে দ্বিগুণে।
**********************
ফাগুনে আগুন, চৈতে মাট
বাঁশ বলে শীঘ্র উঠি।
**********************
ভাদ্রের চারি, আশ্বিনের চারি
কলাই করি যত পারি।
**********************
লাঙ্গলে না খুঁড়লে মাটি,
মই না দিলে পরিপাটি
ফসল হয় না কান্নাকাটি।
*********************
সবলা গরু সুজন পুত
রাখতে পারে খেতের জুত।
********************
গরু-জরু-ক্ষেত-পুতা
চাষীর বেটার মূল সুতা।
*******************
সবল গরু, গভীর চাষ
তাতে পুরে চাষার আশ।
********************
শোন শোন চাষি ভাই
সার না দিলে ফসল নাই।
হালে নড়বড়, দুধে পানি
********************
হালে নড়বড়, দুধে পানি
লক্ষ্মী বলে চললাম আমি।
********************
রোদে ধান, ছায়ায় পান।
********************
আগে বাঁধবে আইল
তবে রুবে শাইল।
********************
গাছ-গাছালি ঘন রোবে না
গাছ হবে তাতে ফল হবে না।
********************
খরা ভুয়ে ঢালবি জল
সারাবছর পাবি ফল।
********************
ষোল চাষে মূলা, তার অর্ধেক তুলা
তার অর্ধেক ধান, তার অর্ধেক পান,
খনার বচন, মিথ্যা হয় না কদাচন।
****************************
ডাঙ্গা নিড়ান বান্ধন আলি
তাতে দিও নানা শালি।
********************
কাঁচা রোপা শুকায়
ভুঁইয়ে ধান ভুঁইয়ে লুটায়।
********************
বার পুত, তের নাতি
তবে কর কুশার ক্ষেতি।
********************
তাল বাড়ে ঝোঁপে
খেজুর বাড়ে কোপে।
********************
গাজর, গন্ধি, সুরী
তিন বোধে দূরী।
****************
খনা বলে শোনভাই
তুলায় তুলা অধিক পাই।
*******************
ঘন সরিষা পাতলা রাই
নেংগে নেংগে কার্পাস পাই।
********************
বারো মাসে বারো ফল
না খেলে যায় রসাতল।
********************
ফল খেয়ে জল খায়
জম বলে আয় আয়।
******************
কলা-রুয়ে না কেটো পাত কলা-রুয়ে না কেটো পাত, তাতে কাপড় তাতেই ভাত।
******************
চাষে মুলা তার
অর্ধেক তুলা তার
অর্ধেক ধান
বিনা চাষে পান
***************
বিপদে পড় নহে ভয়
অভিজ্ঞতায় হবে জয়
*******************
উত্তর দুয়ারি ঘরের রাজা
দক্ষিণ দুয়ারি তাহার প্রজা।
পূর্ব দুয়ারির খাজনা নাই
পশ্চিম দুয়ারির মুখে ছাই।।
**********************
নিজের বেলায় আটিঁগাটি,
পরের বেলায় চিমটি কাটি।
**********************
পুকুরে তে পানি নাই, পাতা কেনো ভাসে
যার কথা মনে করি সেই কেনো হাসে ?
**********************************
ভাত দেবার মুরোদ নাই,
কিল দেবার গোসাঁই।
******************
নদীর জল ঘোলাও ভালো,
জাতের মেয়ে কালোও ভালো
************************
খাঁদা নাকে আবার নথ!
********************
থাক দুখ পিতে,(পিত্তে)
ঢালমু দুখ মাঘ মাসের শীতে।
*************************
কি কর শ্বশুর মিছে খেটে
ফাল্গুনে এঁটে পোত কেটে
বেড়ে যাবে ঝাড়কি ঝাড়
কলা বইতে ভাংগে ঘাড়।
**********************
ভাদরে করে কলা রোপন
স্ববংশে মরিল রাবণ।
********************
গো নারিকেল নেড়ে রো
আমা টুকরা কাঁঠাল ভো।
********************
সুপারীতে গোবর, বাশে মাটি
অফলা নারিকেল শিকর কাটি
************************
খনা বলে শুনে যাও
নারিকেল মুলে চিটা দাও
গাছ হয় তাজা মোটা
তাড়াতাড়ি ধরে গোটা।
********************
ডাক ছেড়ে বলে রাবণ
কলা রোবে আষাঢ় শ্রাবণ।
********************
পূর্ব আষাঢ়ে দক্ষিণা বয়
সেই বৎসর বন্যা হয়।
********************
মংগলে উষা বুধে পা
যথা ইচ্ছা তথা যা।
******************
পুত্র ভাগ্যে যশ
কন্যা ভাগ্যে লক্ষী
****************
উঠান ভরা লাউ শসা
ঘরে তার লক্ষীর দশা
********************
বামুন বাদল বান
দক্ষিণা পেলেই যান।
*****************
বেঙ ডাকে ঘন ঘন
শীঘ্র হবে বৃষ্টি জান।
*****************
আউশ ধানের চাষ
লাগে তিন মাস।
*****************
যদি বর্ষে গাল্গুনে
চিনা কাউন দ্বিগুনে।
*****************
যদি হয় চৈতে বৃষ্টি
তবে হবে ধানের সৃষ্টি।
*******************
চালায় চালায় কুমুড় পাতা
লক্ষ্মী বলেন আছি তথা।
********************
আখ আদা রুই
এই তিন চৈতে রুই।
******************
চৈত্রে দিয়া মাটি
বৈশাখে কর পরিপাটি।
********************
দাতার নারিকেল, বখিলের বাঁশ
কমে না বাড়ে বারো মাস।
************************
সোমে ও বুধে না দিও হাত
ধার করিয়া খাইও ভাত।
********************
জৈষ্ঠতে তারা ফুটে
তবে জানবে বর্ষা বটে।
********************
বাঁশের ধারে হলুদ দিলে
খনা বলে দ্বিগুণ বাড়ে।
********************
গাই পালে মেয়ে
দুধ পড়ে বেয়ে।
********************
শুনরে বাপু চাষার বেটা
মাটির মধ্যে বেলে যেটা
তাতে যদি বুনিস পটল
তাতে তোর আশার সফল।
***********************
মাঘ মাসে বর্ষে দেবা
রাজ্য ছেড়ে প্রজার সেবা।
********************
চৈতের কুয়া আমের ক্ষয়
তাল তেঁতুলের কিবা হয়।
********************
আমে ধান
তেঁতুলে বান।
*************
হইবো পুতে ডাকবো বাপ
তয় পুরবো মনর থাপ।
********************
পারেনা ল ফালাইতে
উইঠা থাকে বিয়ান রাইতে।
***********************
যদি বর্ষে মাঘের শেষ
ধন্যি রাজা পুণ্যি দেশ
********************
সূর্যের চেয়ে বালি গরম!!
নদীর চেয়ে প্যাক ঠান্ডা!!
********************
সমানে সমানে দোস্তি
সমানে সমানে কুস্তি।
********************
হোলা গোশশা অইলে বাশশা,
মাইয়া গোশশা অইলে বেইশশা
**************************
মেয়ে নষ্ট ঘাটে,
ছেলে নষ্ট হাটে।
**************
আল্লায় দিয়া ধন দেখে মন,
কাইড়া নিতে কতক্ষণ।
********************
যদি থাকে বন্ধুরে মন
গাং সাঁতরাইতে কতক্ষণ।
********************
কাল ধানের ধলা পিঠা,
মা’র চেয়ে মাসি মিঠা।
********************
পরের বাড়ির পিঠা
খাইতে বড় ই মিঠা।
******************
ঘরের কোনে মরিচ গাছ
লাল মরিচ ধরে,
তোমার কথা মনে হলে
চোখের পানি পড়ে!
******************
সোল বোয়ালের পোনা
যার যারটা তার তার কাছে সোনা।
**************************
ছায়া ভালো ছাতার তল,
বল ভালো নিজের বল।
********************
বিয়াই’র পুত নিয়া সাত পুত গুণতে নাই।
*********************************
যা করিবে বান্দা তা-ই পাইবে।
সুই চুরি করিলে কুড়াল হারাইবে।
****************************
খালি পেটে পানি খায়
যার যার বুঝে খায়।
********************
তেলা মাথায় ঢালো তেল,
শুকনো মাথায় ভাঙ্গ বেল।
********************
চৈত্রে চালিতা,
বৈশাখে নালিতা,
আষাড়ে………
ভাদ্রে তালের পিঠা।
আর্শ্বিনে ওল,
কার্তিকে কৈয়ের ঝুল
********************
মিললে মেলা।
না মিললে একলা একলা ভালা!
*************************
সাত পুরুষে কুমাড়ের ঝি,
সরা দেইখা কয়, এইটা কি?
************************
না পাইয়া পাইছে ধন;
বাপে পুতে কীর্তন।
********************
কাচায় না নোয়ালে বাশ,
পাকলে করে ঠাস ঠাস!
********************
যুগরে খাইছে ভূতে
বাপরে মারে পুতে।
******************
দশে মিলে করি কাজ
হারি জিতি নাহি লাজ।
********************
যাও পাখি বলো তারে
সে যেন ভুলেনা মোরে।
********************
ফুল তুলিয়া রুমাল দিলাম যতন করি রাখিও।
আমার কথা মনে ফইল্লে রুমাল খুলি দেখিও।
*************************************
একে তে নাচুনী বুড়ি,
তার উপর ঢোলের বারি
********************
চোরের মার বড় গলা
লাফ দিয়ে খায় গাছের কলা
********************
“ভাই বড়ো ধন, রক্তের বাঁধন
যদি ও পৃথক হয়, নারীর কারন।”
********************
জ্যৈষ্ঠে শুকো আষাঢ়ে ধারা।
শস্যের ভার না সহে ধরা।”
********************
যদি হয় সুজন
এক পিড়িতে নয় জন।
যদি হয় কুজন
নয় পিড়িতে নয় জন
********************
“হাতিরও পিছলে পাও।
সুজনেরও ডুবে নাও।”
********************
গাঙ দেখলে মুত আসে
নাঙ দেখলে হাস আসে (নাঙ মানে – স্বামী)
*************************************
ক্ষেত আর পুত।
যত্ন বিনে যমদূত।।
*****************
গরু ছাগলের মুখে বিষ।
চারা না খায় রাখিস দিশ ।।
********************
আকাশে কোদালীর বাউ।
ওগো শ্বশুড় মাঠে যাও।।
মাঠে গিয়া বাঁধো আলি।
বৃষ্টি হবে আজি কালি।।
********************
যদি ঝরে কাত্তি।
সোনা রাত্তি রাত্তি।।
*****************
আষাঢ়ের পানি।
তলে দিয়া গেলে সার।
উপরে দিয়া গেলে ক্ষার।।
********************
গাঁ গড়ানে ঘন পা।
যেমন মা তেমন ছা।।
থেকে বলদ না বয় হাল,
তার দুঃখ সর্ব্বকাল।
********************
যে চাষা খায় পেট ভরে।
গরুর পানে চায় না ফিরে।
গরু না পায় ঘাস পানি।
ফলন নাই তার হয়রানি।।
********************
গরুর পিঠে তুললে হাত।
গিরস্থে কভু পায় না ভাত।।
গাই দিয়া বায় হাল
দু:খ তার চিরকাল।
********************
দিন থাকতে বাঁধে আল।
তবে খায় তিন শাল।।
বারো পুত তেরো নাতি।
তবে করো বোরো খেতি।।
********************
মেঘ করে রাত্রে হয় জল।
তবে মাঠে যাওয়াই বিফল।।
**********************
যদি থাকে টাকা করবার গোঁ।
চৈত্র মাসে ভুট্টা দিয়ে রো।।
********************
হলে ফুল কাট শনা।
পাট পাকিলে লাভ দ্বিগুণা।।
********************
পাঁচ রবি মাসে পায়,
ঝরা কিংবা খরায় যায়।
********************
খনা বলে শুন কৃষকগণ
হাল লয়ে মাঠে বেরুবে যখন
শুভ দেখে করবে যাত্রা
না শুনে কানে অশুভ বার্তা।
ক্ষেতে গিয়ে কর দিক নিরূপণ,
পূর্ব দিক হতে হাল চালন
নাহিক সংশয় হবে ফলন।
*********************
ভরা হতে শুন্য ভাল যদি ভরতে যায়,
আগে হতে পিছে ভাল যদি ডাকে মায়।
মরা হতে তাজা ভাল যদি মরতে যায়,
বাঁয়ে হতে ডাইনে ভাল যদি ফিরে চায়।
বাঁধা হতে খোলা ভাল মাথা তুলে চায়,
হাসা হতে কাঁদা ভাল যদি কাঁদে বাঁয়।
*****************************
কি করো শ্বশুর লেখা জোখা,
মেঘেই বুঝবে জলের রেখা।
কোদাল কুড়ুলে মেঘের গাঁ,
মধ্যে মধ্যে দিচ্ছে বা।
কৃষককে বলোগে বাঁধতে আল,
আজ না হয় হবে কাল।
********************
বার বছরে ফলে তাল,
যদি না লাগে গরু নাল।
********************
এক পুরুষে রোপে তাল,
অন্য পুরুষি করে পাল।
তারপর যে সে খাবে,
তিন পুরুষে ফল পাবে।
********************
নিত্যি নিত্যি ফল খাও,
বদ্যি বাড়ি নাহি যাও।
********************
চৈত্রেতে থর থর
বৈশাখেতে ঝড় পাথর
জ্যৈষ্ঠতে তারা ফুটে
তবে জানবে বর্ষা বটে।
********************
সাত হাতে, তিন বিঘাতে
কলা লাগাবে মায়ে পুতে।
কলা লাগিয়ে না কাটবে পাত,
তাতেই কাপড় তাতেই ভাত।
********************
দিনের মেঘে ধান,
রাতের মেঘে পান।
***************
বেল খেয়ে খায় পানি,
জির বলে মইলাম আমি।
আম খেয়ে খায় পানি,
পেঁদি বলে আমি ন জানি।
********************
শুধু পেটে কুল,
ভর পেটে মূল।
*************
চৈতে গিমা তিতা,
বৈশাখে নালিতা মিঠা,
জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ,
শায়নে দৈ।
ভাদরে তালের পিঠা,
আশ্বিনে শশা মিঠা,
কার্তিকে খৈলসার ঝোল,
অগ্রাণে ওল।
পৌষে কাঞ্ছি, মাঘে তেল,
ফাল্গুনে পাকা বেল।
********************
তিন নাড়ায় সুপারী সোনা,
তিন নাড়ায় নারকেল টেনা,
তিন নাড়ায় শ্রীফল বেল,
তিন নাড়ায় গেরস্থ গেল।
********************
আম লাগাই জাম লাগাই
কাঁঠাল সারি সারি-
বারো মাসের বারো ফল
নাচে জড়াজড়ি।
*************
তাল, তেঁতুল, কুল
তিনে বাস্তু নির্মূল।
**************
ঘোল, কুল, কলা
তিনে নাশে গলা।
*************
আম নিম জামের ডালে
দাঁত মাজও কুতুহলে।
*****************
সকল গাছ কাটিকুটি
কাঁঠাল গাছে দেই মাটি।
******************
শাল সত্তর, আসন আশি
জাম বলে পাছেই আছি।
তাল বলে যদি পাই কাত
বার বছরে ফলে একরাত।
********************
পূর্ণিমা আমাবস্যায় যে ধরে হাল,
তার দুঃখ হয় চিরকাল।
তার বলদের হয় বাত
তার ঘরে না থাকে ভাত।
খনা বলে আমার বাণী,
যে চষে তার হবে জানি।
******************
ভাদরের চারি আশ্বিনের চারি,
কলাই রোব যত পারি।
******************
ফাল্গুন না রুলে ওল,
শেষে হয় গণ্ডগোল।
**************
মাঘে মুখী, ফাল্গুনে চুখি,
চৈতে লতা, বৈশাখে পাতা।
********************
সরিষা বনে কলাই মুগ,
বুনে বেড়াও চাপড়ে বুক।
*******************
গোবর দিয়া কর যতন,
ফলবে দ্বিগুণ ফসল রতন।
*******************
খনা বলে চাষার পো
শরতের শেষে সরিষা রো।
********************
সেচ দিয়ে করে চাষ,
তার সবজি বার মাস।
****************
তিনশ ষাট ঝাড় কলা রুয়ে
থাকগা চাষি মাচায় শুয়ে,
তিন হাত অন্তর এক হাত খাই
কলা পুতগে চাষা ভাই।
*****************
বৎসরের প্রথম ঈশানে বয়,
সে বৎসর বর্ষা হবে খনা কয়।
********************
শুনরে বেটা চাষার পো,
বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে হলুদ রো।
আষাঢ় শাওনে নিড়িয়ে মাটি,
ভাদরে নিড়িয়ে করবে খাঁটি।
হলুদ রোলে অপর কালে,
সব চেষ্টা যায় বিফলে।
*****************
পান লাগালে শ্রাবণে,
খেয়ে না কুলায় রাবণে।
******************
ফাল্গুনে আগুন চৈতে মাটি,
বাঁশ বলে শীঘ্র উঠি।
****************
ভাদ্র আশ্বিনে বহে ঈশান,
কাঁধে কোদালে নাচে কৃষাণ।
*********************
বৈশাখের প্রথম জলে,
আশুধান দ্বিগুণ ফলে।
****************
বাড়ীর কাছে ধান পা,
যার মার আগে ছা।
চিনিস বা না চিনিস,
ঘুঁজি দেখে কিনিস।
**************
শীষ দেখে বিশ দিন,
কাটতে কাটতে দশদিন।
ওরে বেটা চাষার পো,
ক্ষেতে ক্ষেতে শালী রো।
****************
খনা ডাকিয়া কন,
রোদে ধান ছায়ায় পান।
****************
তপ্ত অম্ল ঠাণ্ডা দুধ
যে খায় সে নির্বোধ।
***************
ডাক দিয়ে বলে মিহিরের স্ত্রী, শোন পতির পিতা,
ভাদ্র মাসে জলের মধ্যে নড়েন বসুমাতা।
রাজ্য নাশে, গো নাশে, হয় অগাধ বান,
হাতে কাটা গৃহী ফেরে কিনতে না পান ধান।
********************************
ফাল্গুনে আট, চৈতের আট,
সেই তিল দায়ে কাট।