বাংলা নাটক: গতকাল বিশ্বনাট্যদিবস (World theatre day) উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হল ইলোরা বর্ষকথা ২০২৩ (Elora Barshokatha 2023)। কলকাতায় প্রকাশ করলেন বাংলার প্রাজ্ঞ নাট্য ব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী মহাশয়। সাক্ষী থাকলেন ক্লাইম্যাক্স থিয়েটারের নির্দেশক বাদল কাঞ্জিলাল।
গতকাল সোশ্যাল সাইটে একটি ভিভিও বার্তায় দেখা যায় দুই প্রবীন নাট্যজনকে। ইলোরা বর্ষকথা হাতে নিয়ে তার আবরন উন্মোচনের মাধ্যমে এ বছরের বর্ষকথা প্রকাশ করলেন শ্রী চক্রবর্তী।
বাংলা থিয়েটারের অভিভাবক বলে তাঁকে সম্মোধন করলেন আর এক নাট্যব্যক্তিত্ব বাদল কাঞ্জিলাল। কলকাতা ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে এই ইলোরা বর্ষকথা প্রকাশের সংবাদ সোস্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়ে।
বহরমপুর ঋত্বিকের অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয়েছে এই বর্ষকথা। সেখানে প্রকাশকালীন ছবিতে সম্পাদক মলয় ঘোষকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
সাঁইথিয়া আসর নাট্যমের অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয়েছে ইলোরা বর্ষকথা ২০২৩। সেখানে ছিল বিজয়কুমার দাসের উজ্জ্বল উপস্থিতি।
পাঁচথুপিতে উদয়নের অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয়েছে এই পত্রিকা।
কৃষ্ণনগরে জীবনের ঐক্যতানের অনুষ্ঠানেও প্রকাশিত হয়েছে বর্ষকথা ২০২৩।
বর্ধমানে স্বপ্ন অঙ্গনের অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয়েছে ইলোরা নাট্যপত্রিকা।
দত্তপুকুর সৃষ্টি নাট্যসংস্থার অনুষ্ঠানে প্রকাশিত ইলোরা বর্ষকথা, অভীক ভট্টাচার্যের উজ্জ্বল উপস্থিতিতে।
কলকাতায় প্রকাশিত উক্ত ভিডিওতে বিভাসবাবু এই বর্ষকথা সম্পর্কে যা বললেন-
“ইলোরা বর্ষকথা ২০২৩ এই পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন করে খুব গর্ববোধ হচ্ছে যে আমাদের ইলোরার বন্ধুরা এখনও পর্যন্ত বহুদিন ধরে এই কাজটা চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজগুলো হচ্ছে থিয়েটারের থ্যাংক ক্রেজ জব, যখন যার প্রয়োজন পরে তখন তার এক একটা ঠিকানা বার করতে সাহায্য করে বটে, কিন্তু এইটার পিছনে কত পরিশ্রম করা, নামগুলো সংগ্রহ করা, তাদের ঠিকানাগুলো সংগ্রহ করা, কোথায় কি ঘটনা ঘটেছে গত এক বছরে, সেই সব লিপিবদ্ধ করা, এ খুব, কি বলব, খুব আরামদায়ক কাজ নয়। গবেষকের কাজ, এবং নিষ্ঠার সঙ্গে করতে হয়, কাজটাকে ভালবেসে করতে হয়। ইলোরার বন্ধুরা সেই কাজটা করছে।
আমাদের থিয়েটারে এই রকম কাজ, বিশেষ করে সংরক্ষণের কাজ গবেষণার কাজ, এগুলো আমরা ভালোভাবে করতে পারি না, এরা থিয়েটার করে বটে কিন্তু তার সাথে এই কাজ গুলো যে খুব জরুরী সেটা এই বয়সে এসে টের পাচ্ছি, কারণ মানুষ যখন আমার কাছে অনেক তথ্য চায়, আমারই কাজ সম্পর্কে, আমারই কাজের ছবি চায়, আমি দিতে পারি না, কারন আমার হেপাজতে সেগুলো নেই, কিন্তু এই ব্যাপারটা খুব দরকার এবং ইলোরার বন্ধুরা এবং মলয় এই কাজটা করে যাচ্ছে, আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি থিয়েটার সমাজের পক্ষ থেকে।”
কি এই ইলোরা বর্ষকথা?
বাংলা সমস্ত নাট্যকর্মী, দল, ব্যাক স্টেজ কর্মী সবার ঠিকানা ও যোগাযোগের এক ডায়েরী। যা প্রতিবছর আপডেট হয়। এছাড়াও প্রতিবছরের নানান ঘটনার খবরও এই সংকলনে স্থান পায়। এই পত্রিকার সম্পাদক শ্রী মলয় ঘোষ তাঁর নাট্যদল ‘ইলোরা’কে সাথে নিয়ে, কাজ করে চলেছেন দীর্ঘ দিন ধরে।