নটসেনা-র নাটক ‘হাঁ’ —– একটি প্রতিবেদন

- Advertisement -

প্রেমাঞ্জন দাশগুপ্ত

                                                  

অন্ধজনে দেহ আলো, মৃতজনে দেহ প্রাণ ——- কে দেবে আলো, কে দেবে প্রাণ! ———- শ্রদ্ধেয় উৎপল দত্তের মুখে এ সংলাপ প্রদান করেছিলেন সত্যদ্রষ্টা শ্রদ্ধেয় সত্যজিৎ রায়। ছবি -আগন্তুক।

কে বলে দেবে পথ যখন সমাজ তথা দেশ এক অবনমনের সিড়ি ধরে ধাপে ধাপে নেমে চলে এক অতল তমসায়, অজ্ঞাত এক হাহাকারের কৃষ্ণগহ্বরে!

তাইই কি নাটককার মৈনাক সেনগুপ্ত ঝাড়া-ঝাপটা দিয়ে উঠে বসে কলম ধরেন —- সৃষ্ট হয় “হাঁ” —— আর তাইই কি নটসেনা-র সেনানীরা উদগ্রীব হয়ে ওঠেন ঐ নাটক মঞ্চায়নে!

গত ২৪ জুন,২০২৪ তপন থিয়েটারে রাণীকুঠি আঙ্গিক – এর নাট্যসবে নটসেনা-র নাটক ” হাঁ ” দেখলাম।

অলোক – এর খিদে পায় অহরহ। ওর স্ত্রী জেরবার অলোকের মুখের সামনে খাবার সরবরাহ করতে করতে। স্বভাবতই লেগে থাকে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া। এ যেন এক সর্বগ্রাসী খিদে। এহেন অদম্য খিদে, তথা লিপ্সার থেকে পরিত্রাণের পথই বা কি? উওর সুত্র জানতে দেখতে অনুরোধ রইল সময়োপযোগী এ নাটক।

এমনই এক গল্প রূপকের বেশে উপস্থিত করেন মৈনাক। এ গল্প হাসির মোড়কে পীড়িত করে, চিন্তনের গহীনে নিয়ে চলে যায় অগোচরে।

কিছু ভাবার অবকাশ নেই, এমনকি কাউকে নিয়ে ভাবার ! চিল – শকুনের মতো ভাবনার আকাশ গ্রাস করেছে ক্যাপিটালিজম্ আর কর্পোরেটাইজেসন্। সমাজতন্ত্র, মানবতা, মানবিকতা টুকরো অস্থি- র মতো পড়ে আছে নীচে, মন ভূমির অন্তিমে, অকুস্থলে!

দেবব্রত ভট্টাচার্যের ভাবনায় এক ছিমছাম মঞ্চ নির্মাণ করেছেন অজিত রায়। আলোক পরিকল্পনা ও আবহে কল্যাণ ঘোষ ও সন্দীপ মুখার্জি যথাক্রমে যথাযথ। দলগত অভিনয় প্রশংসনীয়। কেন্দ্রীয় চরিত্রে দুর্গা চক্রবর্তী অনবদ্য। বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দেবব্রত ভট্টাচার্য, শ্যামল দাস ও স্বাতী কোলে। পরিশেষে বলি, নাটকটির যবনিকা পতনের দৃশ্যটি বিনির্মাণের অবকাশ রয়েছে।

- Advertisement -
সাম্প্রতিক পোস্ট
এধরনের আরও পোস্ট
- Advertisement -