নিজস্ব প্রতিনিধি
বাঙালি, থিয়েটার (Bangla Theatre) দেখার অভ্যেস ত্যাগ করেছে। এমনটাই মনে করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা বিশিষ্ট নাট্যকার ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। গোয়েঙ্কা কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ১১৯তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ‘কেন থিয়েটার’ শীর্ষক বিষয় নিয়ে বলতে উঠে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, ‘‘সোশাল মিডিয়ার যুগে সেন্স অফ এন্টারটেইনমেন্ট শব্দটি বদলে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে থিয়েটার দেখার প্রচলন এখনও থাকলেও বাংলায় সেটা দিন কে দিন কমে যাচ্ছে। আগে বাংলাতেও থিয়েটারে মানুষের আগ্রহ ছিল। কিন্তু কোনওভাবে আমরা আমাদের সেই অভ্যাসটি ত্যাগ করেছি।’’
অর্থাৎ ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) দাবি, সেন্স অফ এন্টারটেইনমেন্ট শব্দটি বদলে যাওয়ার কারণেই মানুষ থিয়েটারের (Bangla Theatre) প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এর পিছনে কি আর কোনও কারণ নেই? এর পিছনে কি সরকারের কোনও ভূমিকা নেই? বিশিষ্ট নাট্যকার যখন নিজেই এ রাজ্যের মন্ত্রী এবং থিয়েটারের ধুঁকতে থাকা পরিস্থিতিটা ভালোমতই উপলব্ধি করতে পারছেন – তাহলে তিনি বা তাঁর সরকার এনিয়ে এগিয়ে আসছে না কেন? এগিয়ে এসে থাকলে তার সুফল বাংলা থিয়েটার পাচ্ছে না কেন?
নানা তথ্য পরিসংখ্যান ঘেঁটে যেটা জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে থিয়েটার কর্মীদের অবস্থা, বিশেষ করে টেকনিশিয়ানদের অবস্থা শোচনীয় বললেও কম বলা হয়। যাঁরা আলোকশিল্পী, যাঁরা মঞ্চসজ্জার কাজ করেন, তাঁদের অবস্থা ভীষণ খারাপ। সরকার কিংবা নাট্য অ্যাকাডেমির এনিয়ে তেমন কোনও হেলদোল নেই। এই পরিস্থিতিতে নাট্যপ্রেমীদের একাংশ রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকেও দায়ী করছেন। তাঁদের দাবি, যেভাবে বাংলার সংস্কৃতি জগতে ‘আমরা ওরা’ শুরু হয়েছে, তাতে আখেড়ে ক্ষতি হচ্ছে থিয়েটারেরই (Bangla Theatre)। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে থিয়েটার কর্মী, টেকনিশিয়ানদের।
তবে এই পরিস্থিতিতেও বাংলায় যাঁরা থিয়েটারকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের কুর্নিশ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী তথা নাট্যকার ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তাঁর কথায়, ‘‘এই পরিস্থিতির মধ্যেও যাঁরা এই থিয়েটার নিয়ে কাজ করছেন, তাঁদের কুর্নিশ। কারণ থিয়েটার ও সিনেমা সমাজের কথা বলে।’’