নিজস্ব সংবাদদাতা
বাংলা সিনেমার প্রতি দর্শকের ভীড় প্রসঙ্গে পজিটিভ মন্তব্য পোষণ করেন পরিচালক অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তিনি মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের মতো এতো রিসেপ্টিভ ও এতো ওপেন মাইন্ডেড অডিয়েন্স কোথাও পাওয়া যাবে না। ভারতবর্ষে মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রি ছাড়া কোথাও এই রকম দর্শক পাওয়া যাবে না। কলকাতার মানুষ ভালো কন্টেট, এক্সপেরিমেন্টাল কনটেন্টের মুখিয়ে রয়েছে, এরকমই বিশ্বাস পরিচালকের।
ছবি রিলিজের আগের দিন শ্রীকান্ত মোহতা ছবি দেখে শিবপ্রসাদকে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই ছবি নিয়ে চিন্তা করার কোনো দরকার নেই, এই ছবির হিট হয়ে গেছে। শ্রীকান্ত মোহতা তাকে বলেছিলেন ব্রিলিয়ান্ট বলে তাকে জরিয়ে ধরেছিলেন। কারণ তিনি মনে করেছিলেন এটাই পারফেক্ট কমার্সিয়াল সিনেমা। সত্যি তাই ইতিমধ্যে শিবপ্রসাদ ও নন্দিতা জুটিতে বাংলা ছবির সব কিছুকে ভেঙ্গে দিয়ে বক্স অফিস ১৬ কোটির ব্যবসা ছাড়িয়ে গেছে। এই ব্যাবসা সম্পর্কে প্রথম প্রেডিকশন করেছিলেন মহেন্দ্র সোনি। তিনি ছবি রিলিজের আগের দিন ১০ কোটি ব্যাবসা দেবে বলেছিলেন। কিন্তু এক সপ্তাহের ট্রেন্ড দেখে বলেছিলেন এটা ১২ কোটি ক্রস করে যাবে।
তাদের ছবিতে বহুরপী কালচারকে প্রয়োগের প্রসঙ্গে অপর পরিচালক নন্দিতা রায় জানান , তার প্রথমে এই ছবির নির্মাণে এই বহুরূপীকে প্রয়োগের ভাবনা ভাবেন নি। ছবির ভাবনার একটা মাটির গন্ধ ছিলই। এবং সেই ভাবনা থেকে বহুরূপীকে এর সাথে মিলিয়ে নেবার একটা সুযোগ থেকেই যায়। এই ব্যাবহারের সাথে সাথে এইসব ট্যালেন্ডেড শিল্পীদের দর্শকের কাছে উপস্থাপন করলে সেই বিলুপ্তপ্রায় শিল্পের প্রতি সমাদর করা হবে। সাথে সাথে এই শিল্পীদের একতা সম্মানও দেওয়া হবে।
একটা কাজ প্রসঙ্গে যখন একজন পরিচালক এইরকম সোজা করে সোজা কথা বলে দিতে পারেন, তখন ছবির ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়ে যায়। আসলে এইভাবে পরিচালক সিবপ্রসাদ আবার সত্য প্রমাণিত হলেন, যে কন্টেট ও আবেগ যদি ঠিক থাকে সেখানে সততা যদি সঠিকভাবে কাজ করে, কোনোরকম অতি নাটকিয়তা, ছবি যা নয়, তাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে না বলে, যা ছবিতে আছে তাকেই যদি দর্শকের কাছে উপস্থাপন করা যায়, তাহলে সেই ছবি অবশ্যই বহুরূপীই হয়।
দুজনের জুটিতে রসায়ন কি এই প্রসঙ্গে শিবপ্রসাদ মনে করেন, আমাদের কন্টেন্ট বারবার নতুন হতে হবে, একরা রসগোল্লা বানালাম তো একতা দাবাড়ু বানাচ্ছি, তারপরেই আবার লক্ষীছেলেতে চলে যাচ্ছি অর্থাৎ ভাবনায় মঈলিকত্ব থাকা। তিনি মনে করেন ছবি বানালেই তিনি সাক্সেস পাবেন এমনতা নাও হোতে পারে। কিন্তু সেই কাছে যদি প্রতিনিয়ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করার প্রতি দৃষ্টি থাকে, তাহলে সেই কাজের অভিজ্ঞতায় নতুন কিছু আসবেই।
সকলে তাদের ছবির সফলতাকে মানদণ্ড করে পরের ছবির কনটেন্ট নির্বাচন করেন, কিন্তু তারা কোনোভাবেই সেটা করেন নি, সেটা বেলাশেষে- প্রাক্তন- প্রস্তুতি থেকে হামি দেখলেই বোঝা যায়।
ভারতবর্ষের তিনটি সুপার স্টার একজনের নাম শাহরুখ, আর একজনের নাম আল্লু অর্জুন আর তৃতীয়জন কন্টেন্ট। এরকমই মত দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করে পরিচালক শিবপ্রসাদ, একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে।